কৃষি ৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০২:৫০

মাছের কৃত্রিম প্রজননে বড় ভূমিকা রাখছে পিটুইটারি গ্লান্ড

অর্থনীতি ডেস্ক: কেজি প্রতি মাছের দাম বেশি পাওয়ার আশায় মাছের কৃত্রিম প্রজননের প্রয়োজন  পরে। বাজারে যার বর্তমান মূল্য আকাশ চুম্বি হলেও এটি মাছের উৎপাদনে মূল্যবান উপাদান। ১ কেজি কৃত্তিম পিটুইটার গ্লান্ডের দাম ৯০ লাখ টাকা! 

দেশে এর চাহিদা কম থাকার কারনে উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে কম ব্যবহার হয় বলে মনে করেন দেশের কৃষি মহল সংশ্লিষ্ট।

মূলত, মাছের প্রযোজন উদ্দীপনায় বিশাল ভূমিকা রাখে এই কৃত্তিম বড়ি বা মুড়ার দানা। যা তাড়াতাড়ি মাছ বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।  

এদিকে ব্যয়বহুল হওয়াতে কৃষি মহলে এর উৎপাদন কম হয়। আর সিংহভাগেরও বেশি আমদানি হয় পাশের দেশ ভারত এবং কিছুটা চীনে।

তবে ইচ্ছে করলেই এর উৎপাদন চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করেন দেশের কৃষি মহলগুলো।

জানা যায়, রেণু পোনা উৎপাদনে প্রাকৃতিক হরমোন হিসেবে পিটুইটারি গ্লান্ড (পিজি) ব্যবহৃত হয়। হ্যাচারির পুকুরে প্রজননের সময় মা ও পুরুষ মাছের দেহে নির্দিষ্ট মাত্রায় পিজি সিরিঞ্জের মাধ্যমে পুশ করা হয়। এতে মাছের দেহে উত্তেজনা আসে। এ সময় মাছের প্রজনন হয়। প্রাকৃতিক এ হরমোন ব্যবহারে মাছের জীবনচক্রে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশ এবং এ ব্যবসায় জড়িত স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি গ্রাম পিজি মানে মুড়ার দানা ৬ থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সেই হিসাবে এক কেজির দাম ৬০ লাখ থেকে ১ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, কার্পজাতীয় মাছের মধ্যে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ, কার্ফু, কার্ভ, সিলভার কার্প এর মুড়ার দানা বেশি দামি

ওয়ার্ল্ডফিশের বাজারব্যবস্থা উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হাসনাল আলম বলেন, “মাছের কৃত্রিম প্রজনন করা হলে একটা না একটা উদ্দীপক লাগেই। যদি প্রাকৃতিক পিজির ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে কৃত্রিম পিজি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু কৃত্রিম পিজি মাছের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।”

আমাদেরকাগজ/এমটি