শেয়ার বাজার ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১১:০২

পৌনে দুইশ প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা উধাও, লেনদেনে ধীরগতি

আমাদের কাগজ রিপোর্ট: ক্রেতা সংকট প্রকট হয়ে উঠছে দেশের শেয়ারবাজারে। এতে একদিকে দেখা দিচ্ছে লেনদেন খরা, অন্যদিকে দাম কমার তালিকায় নাম লেখাচ্ছে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে কমছে মূল্যসূচক।

গত কয়েক কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট। এতে প্রায় দুইশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে।

ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ার পাশাপাশি দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শেয়ার বিক্রির আদেশ আসছে। ফলে যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে, তারা তা বিক্রি করতে পারছেন না।

এমন ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৩০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

সেই সঙ্গে দাম দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। এরপরও সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। আর দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা। সেই সঙ্গে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৫০ মিনিটে ডিএসইতে ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯১টির। আর ৮৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়েছে ১৬১ প্রতিষ্ঠানের।

এরপরও ডিএসই’র প্রধান সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে দশমিক ২৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে ১ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, কমেছে ৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।

 

 

আমাদের কাগজ/টিআর