স্পোর্টস ডেস্ক: দেশকে প্রথমবারের মতো নারী সাফ শিরোপা এনে দেয়া দেওয়ার পর অবিসংবাদিত ও কিংবদন্তিতুল্য কোচ হিসেবে ইতোমধ্যেই অমরত্ব পেয়ে গেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। তবে তার অনেক কাজ বাকি এখনো বাকি আছে। রয়ে গেছে আরও অনেক দায়িত্ব, অনেক পরীক্ষা।
এবার তার আরও একটি আসরের পরিক্ষা দিতে হচ্ছে সামনে। তবে এবার আর সিনিয়র নয়, জুনিয়র দলের হয়ে আবারও ডাগ আউটে দাঁড়াতে হবে তাকে। আসরের নাম ‘সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। তারই একটি হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বরে।
একটা সময় ছোটনকে বলা হতো ‘জুনিয়র পর্যায়ে সফল অথচ সিনিয়র পর্যায়ে ব্যর্থ কোচ!’ পরিসংখ্যানও সেটাই বলতো। কিন্তু কিছুদিন আগে সিনিয়র বা জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ছোটন এনে দেয়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফলে এখন আর গর্বিত কোচ ছোটনের গা থেকে ঝরে গেছে সেই অপবাদ।
সামনে ১-১১ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা রয়েছে । এতে অংশ নেবে মাত্র তিনটি দেশ। নেপাল, ভুটান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। বাকি চারটি দেশ ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা অংশ নিচ্ছে না। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, এই মুহূর্তে ওই চারটি দেশের অনূর্ধ্ব-১৫ দল তৈরি অবস্থায় নেই। তাই তারা অংশ নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
দল মাত্র তিনটি হওয়ার আসরের খেলাগুলো হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহকারী দেশ চ্যাম্পিয়ন বলে ঘোষিত হবে। এটি হবে চতুর্থ আসর। আগের তিনটি আসরে সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত, দুবার (২০১৮ ও ২০১৯)। আর একবার শিরোপা জিতেছে লাল-সবুজের দেশ বাংলাদেশ (২০১৭ সালে ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে)।
এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ভারতসহ ৪টি দেশ নেই। ফলে আমরাই ফেভারিট। তাছাড়া নিজেদের মাঠে খেলা হবে। যদিও রিতা ছাড়া আর কেউ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি, তারপরও আমি আশাবাদী যে আমরা ভালো করব।’
ছোটনের অধীনে দুই মাস ধরে মেয়েরা অনুশীলন করছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই দলটি একেবারেই নতুন হলেও দলে মুনকি, লিভা, জ্যোতির মতো কুশলী খেলোয়াড় আছে। বাকিরা অনেক ট্যালেন্ট। এই আসরটি খেলে সবারই ভালো অভিজ্ঞতা হবে। তারাও সিনিয়র মতো সাফল্য পেয়ে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
আমাদের কাগজ/ইদি