দুর্যোগ ১৪ মে, ২০২৩ ১১:৪১

ঘর পাহারায় পুরুষ,আশ্রয়কেন্দ্রে  স্ত্রী-সন্তানরা

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্ক: ঘনিয়ে আসছে মহাবিপদ। নিজের যাই হোক না কেন, স্ত্রী-সন্তানরা যেন নিরাপদ স্থানে সুরুক্ষিত থাকে এটি যেন ঘরের প্রতিটি পুরুষের চাওয়া। গত শনিবার রাত থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে এমনই চিত্রের দেখা মিলছে। যেখানে আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ঘর পাহারা দিচ্ছেন উপকূলের পুরুষরা। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে স্ত্রী-সন্তানদের পাঠিয়ে দিলেও নিজেরা যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন।

সেখানকার এক বাসিন্দা বলেন, চুরির প্রবণতা একটু বেশি। তাই, স্ত্রী-সন্তানদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর আমি ঘর পাহারা দিচ্ছি। আমার মতো এরকম অনেকেই ঘর পাহারায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না।

উল্লেখ্য,রোববার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত প্রশাসন বাধ্য করে মাত্র ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পেরেছে।


চুরি-ডাকাতিসহ নানা রকম অপরাধ রোধে চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্ব পুলিশের একাধিক দল তৎপর রয়েছে ও তার পাশাপাশি আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা তাহেরা বেগমের নেতৃত্বে আনসারের কয়েকটি দল বিভিন্ন ইউনিয়নে টহল দিচ্ছেন এবং সাইক্লোন শেল্টারভিত্তিক দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

জানা যায়, পেকুয়ায় ১২১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্তত এক লাখ বিশ হাজার মানুষ যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। তবে, এসব সাইক্লোন শেল্টারের বেশিরভাই ফাঁকা রয়েছে। অনেক চেষ্টার ফলে কয়েক হাজার নারী ও শিশুকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে পেরেছেন কর্মীরা।

এদিকে, মোখার প্রভাবে শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় স্থলভাগের ২০ থেকে ৩০ মিটার উপরে ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে বাতাসের গতিবেগ ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এদিকে রোববার (১৪ মে) সকালে আবহাওয়ার ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

আমাদের কাগজ/এমটি