শিক্ষা ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০৫:৩০

ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে। নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে, নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ফার্স হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নারীর অধিকারে অনেক দূর এগোলেও সামাজিক কিছু রক্ষণশীলতা আছে। নারী সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নারী নিরাপদ নয়। অগ্রগতিতে নারীদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনায় নারীর ইজ্জত সম্ভ্রমহানির মতো সামাজিক ধারণা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। এর আচরণগত দায় পুরুষের। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী বান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে। নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে, নারীর অংশীদারত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে।

“অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন গড়ি, নতুন সমাজ বিনির্মাণ করি”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইডিশ অ্যাম্বাসেডর আলেকক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড। তিনি বলেন, বাংলাদেশে নানা অগ্রগতির পরেও নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এসডিজি রিপোর্ট অনুসারে নারীদের কাজ হারানোর হার বাড়ছে, বিনা পারিশ্রমিকে কাজের বোঝা বাড়ছে। এ জন্য বঞ্চিত নারীদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনার জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জোরালো ভূমিকা রয়েছে। তিনি আশা করেন, সংগঠন এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে যাতে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে থাকা বৈচিত্র্যকে ধারণ করে ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।


আমাদেরকাগজ/এইচএম