স্বাস্থ্য সেবা ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:২০

এখনি ভ্যাকসিন ‍নিতে চান না ৫২ শতাংশ মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে জরিপ পরিচালনা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট। এতে বলা হয় ৮৪ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু তার মধ্যে ৩২ শতাংশ এখন নিতে আগ্রহী বাকি ৫২ শতাংশ পরে নিতে আগ্রহী। অনেকে টিকার মান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, বলেছে অন্যরা নিলে আমরা নিবো।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সঙ্গে আলাপকালে জরিপ দলের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ এ তথ্য জানান।

জরিপের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি ৮৪ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু তার মধ্যে ৩২ শতাংশ এখন নিতে আগ্রহী বাকি ৫২ শতাংশ পরে নিতে আগ্রহী। অনেকে টিকার মান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, বলেছে অন্যরা নিলে আমরা নিবো। এজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে সরকার যখন টিকা শুরু করবে এই ৩২ শতাংশ ১০ শতাংশেও আসতে পারে আবার বাড়তেও পারে। তবে নারীরা টিকা নিতে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে। ৮৭ শতাংশ নারী টিকা নিতে চান। অন্যদিকে ৮২ শতাংশ পুরুষ আগ্রহ দেখান। বিভাগভিত্তিক হিসাবে টিকা নেওয়ার আগ্রহের হার সবচেয়ে কম ঢাকায়। ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) টিকা নিতে আগ্রহী ৬৩ শতাংশ। ঢাকা শহরে হারটি ৭৩ শতাংশ। এছাড়া জরিপে আসা সিলেটের ৭৮, চট্টগ্রামের ৮৩, খুলনার ৯০, রাজশাহীর ৯১, বরিশালের ৯২, ময়মনসিংহের ৯৫ ও রংপুরের ১০০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী।

অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ আরো বলেন, আমরা সরকারকে তিনটি সাজেশান্স দিয়েছি। প্রথমত, জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রচারণা চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচারণা চালালে তা কার্যকর হবে। শুধুমাত্র রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রচারণা হলে হবে না, জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সচ্ছতারভিত্তিতে জনগণকে তথ্য দিতে হবে। টিকার নরমাল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। তবে নেওয়ার মারাত্মক হলে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানাতে হবে।

‘তবে জনগণের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে শঙ্কা আছে। আমরা টিকা গ্রহণ করতে জনগণের মতামত তুলে ধরতে জরিপ পরিচালনা করি যাতে সরকারের পলিসি গ্রহণ করতে সুবিধা হয়। আমরা টিকা কেন নিতে চায়, আবার কেন নিতে চায় না, কোভিড সম্পর্কে তাদের ধারণা, পুরুষ ও নারীদের তুলনামূলক মতামতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করি। জায়গা নির্ধারণ করি বহু লোক সমাগম হয় এমন এলাকা। যেমন ঢাকার ক্ষেত্রে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল যেখানে সব ধরনের লোকদের পাওয়া যায়। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও আট বিভাগের আট জেলার ১৬ উপজেলার লোকদের মতামত নেওয়া হয়।’