আমাদের কাগজ ডেস্কঃ দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি), চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়ায় ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে ইজতেমা শুরুর আগেই এর প্রভাব পড়েছে সড়কে। বিমানবন্দর-উত্তরা হয়ে গাজীপুরগামী সড়কে যানবাহনের চাপে তীব্র যানজট বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। দুপুর থেকে চাপ কমাতে আন্তঃজেলা যানবাহনগুলো মহাখালী থেকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগামীকাল দিন শুক্রবারকে সামনে রেখে দেশের দূরদূরান্ত থেকে লোক জড়ো হতে শুরু করেছে ইজতেমার আশপাশ এলাকাতে।
এদিকে দ্বিতীয় পর্ব ২০-২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই ইজতেমার প্রভাব ও গাজীপুর সড়কের এক লেন সচল থাকার কারণে শুধু উত্তরা, টঙ্গী সড়ক নয়, রাজধানীর মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মতিঝিল, গুলশান, মিরপুরের একাংশসহ তেজগাঁও এলাকার সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। এ অবস্থায় চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। তীব্র যানজটের কারণে সকালে থেকেই সড়কে বের হওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে। তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পার করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল থেকেই বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় যানজট দেখা দেয়। যার প্রভাব ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো রাজধানীতে।
আবদুল্লাহপুরগামী যাওয়া গাড়িগুলো খিলক্ষেতে দীর্ঘযানজটে আটকে আছে। এ ছাড়া অপর পাশে আব্দুল্লাহপুর থেকে বনানীর দিকে আসা গাড়িগুলো এগোচ্ছে ধীরগতিতে। এ সময় গুরুত্বপূর্ণ বাস স্টপেজগুলোতে বহু মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। যানজটে আটকে থাকা বাসগুলোতে ছিল প্রচণ্ড ভিড়।
এক নারী বলেন, বনানী যেতে বাসের জন্য আধঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করেছি। যে গাড়িগুলো আসছে সবগুলোতে ভিড়।
বিমানবন্দর এলাকার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সকালে কার্যত স্থবির হয়ে পড়া সড়ক সচল হয়েছে। তবে চাপ রয়ে গেছে যানবাহনের।
বাদ নেই অলিগলিও
ইসলাম নামে রামপুরা বাসিন্দা মুঠোফোনে জানান, আজকে ঢাকার রাস্তার চিত্র একদম ভিন্নতর। বাসা থেকে বের হয়েছিলাম কারওয়ান বাজারে যাব ভেবে। কিন্তু বাসার নিচ পর্যন্ত রিকশার চাপ। আর্মি আসার আগেই সড়কের পরিস্থিতি বুঝে বাসায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি। অন্য আরেকদিন যাব বলে ঠিক করেছি।
তিনি বলেন, এলাকায় যান চলাচল হ-য-ব-র-ল হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে বিমানবন্দর থেকে উত্তরাগামী রাস্তায় যান চলাচল একদম বন্ধ। এর ফলে বিমানবন্দর হয়ে এই যানজটে একদিকে পৌঁছেছে মহাখালী ফ্লাইওভার পর্যন্ত আর অন্যদিকে পৌঁছেছে প্রগতি সরণি পর্যন্ত।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল আমাদের কাগজকে জানান, ইজতেমায় আসা মুসল্লি ও তাদের বহনকারী পরিবহন সড়কে চাপ তৈরি করেছে। ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য সড়কে কাজ করছে। এই চাপ ইজতেমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সেজন্য এই সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল না করার অনুরোধ জানান তিনি।
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতি বছর এই সমাবেশ নিয়মিত আয়োজিত হয়ে আসছে।
আমাদের কাগজ/এম টি