বিনোদন ১৫ মে, ২০২৩ ০৪:৩২

নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে যা বললেন শাকিব খান

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের “মিয়া ভাই” খ্যাত অভিনেতা ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন। সোমবার, ১৫ মে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্য হয়।  ফারুকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঢালিপাড়ায়। শাকিব খানও তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকবার্তা দিয়েছেন।

ফেসবুকে শাকিব খান লিখেছেন, “যতদিন তিনি সুস্থ সবল ছিলেন, ততদিন আমাকে স্নেহে আগলে রেখেছিলেন। আমার যেকোনো ভালো কাজ এবং ছবির পোস্টার কিংবা ট্রেলার রিলিজ হলে তিনি নিজ থেকে অ্যাপ্রিসিয়েট করে গর্বিত হতেন। আমার কাছে শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটি ছিলেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রাজ্ঞজনদের একজন। কাজে কিংবা কাজের বাইরে এই মহান মানুষটির সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি। তার প্রয়াণে প্রিয় অভিনেতা হারানোর পাশাপাশি একজন অভিভাবক হারানোর শোক অনুভব করছি। ওপারে অনেক শান্তিতে থাকবেন।

অভিনেতা ফারুক দীর্ঘদিন ধরে  সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ ২০২১ সালে মার্চ মাসের প্রথম দিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এই অভিনয়শিল্পী ও রাজনীতিবিদ। পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক দিন পর তার মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। 

১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফারুক। এইচ আকবর পরিচালিত “জলছবি” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ঢাকাই সিনেমার তার অভিষেক হয়। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় “আবার তোরা মানুষ হ” ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার “আলোর মিছিল” সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

তার অভিনীত শতাধিক চলচ্চিত্রের মধ্যে “লাঠিয়াল”, “সুজন সখী”, “নয়নমনি”, “সারেং বৌ”, “গোলাপী এখন ট্রেনে”, “সাহেব”,“মিয়া ভাই” উল্লেখযোগ্য।

“লাঠিয়াল” সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১৯৭৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ফারুক। ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে তাকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে সফল ও সেরা নায়কদের একজন হিসেবে স্বীকৃত।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফারুক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি দলটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৬৬ সালে ছাত্রনেতা হিসেবে যোগ দেন ছয় দফা আন্দোলনে। সে সময় তার নামে ৩৭টি মামলা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ফারুক।

আমাদেরকাগজ / এইচকে