লাইফ স্টাইল ১২ মার্চ, ২০২৩ ১২:৫০

প্রতিদিনের যে অভ্যাস আপনার কিডনির ক্ষতি করে

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বাংলাদেশে দুই কোটি মানুষ কোনো-না-কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর চার লাখ মানুষ নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মহামারীর মতোই প্রতিদিনই বাড়ছে এই কিডনি রোগীর সংখ্যা। 

সুস্থ থাকতে কিডনিকে অবহেলা করলে চলবে না। নয়তো শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। তাই বড় কোনো শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আগেই সতর্ক হওয়া জরুরি। কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় কিডনিকে। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেয়ার সুযোগ পান না। আর তাতেই বাড়ে বিপত্তি। 

অজান্তেই এমন কিছু দৈনিক অভ্যাসে আমরা অভ্যস্ত, যেগুলো বাড়িয়ে দেয় কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি।

যে অভ্যাস গুলো বাড়াতে পারে আপনার কিডনির ঝুকি – প্রতিদিনের রান্নায় বেশি লবণ খাওয়া। অনেকেই রান্নায় লবণ কম হোক বা না হোক, খাওয়ার সময় প্লেটে একটু কাঁচা লবণ না নিলেই নয়। এ অভ্যাস কিন্তু কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। কিডনিকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে এই অভ্যাসে রাশ টানতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া। সাধারণত যেকোনো সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে পানি খান। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বের করে দিতে পানিই প্রধানত সাহায্য করে। তাই পানির জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে।
 
কিডনি সংক্রমণের অন্যতম কারণ হলো প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এ অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। শরীরে বেশি ক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
 
উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সবসময় চেষ্টা করুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া যাবে না। কিডনি ভালো রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন।

অনেকেরই মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির জন্য নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই কোনো রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথানাশক এমন ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
 

সূত্রে: আনন্দবাজার পত্রিকা।

আমাদের কাগজ/এমটি