লাইফ স্টাইল ২০ নভেম্বর, ২০২২ ০৮:২০

জেনে নিন জ্বরঠোসা সারাতে যা করবেন, যা করবেন না

আমাদেরকাগজ ডেস্ক: সাধারণত ঠোঁটে বা নাকের পাশে অনেকের জ্বরঠোসা হয়। শীতকালে অথবা জ্বরের পরেই এটি বেশি দেখা যায়। জ্বরঠোসায় ব্যথা হয় অনেক, যার জন্য সারাদিন একটা অস্বস্তিকর অনুভুতির মধ্যে থাকতে হয়।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বরঠোসা ছোঁয়াচে। এটি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত রোগ, আর এ থেকে সেরে উঠতেও সময় লাগে। অনেকে আবার বলেন ভিটামিনের অভাবসহ শরিরের ইমিউনিটি দুর্বল হলে জ্বরঠোসা হয়।

জ্বরঠোসাকে চিকিৎসার পরিভাষায় ফিভার ব্লিস্টার বলা হয়। জ্বরঠোসা হওয়ার আরও কারণ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিভার ব্লিস্টার হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি ১ সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে জ্বর আসে।

আবার জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়া ভিটামিন সি ও ডি’র ঘাটতি হলেও জ্বরঠোসা হতে পারে।

জানলে অবাক হবেন, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এইচএসভি ১ এ আক্রান্ত হন। যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি ১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আবারও এটি প্রকাশ পায়।

জ্বরঠোসার লক্ষণ কী কী?

১. ঠোঁটের কোণে ফুসকুড়ি
২. জ্বর
৩. ব্যথা
৪. বমিভাব কিংবা বমি
৫. মাথাব্যথা
৬. খেতে অসুবিধা
৭. ঠোঁটে জ্বালা করা
৮. ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

জ্বরঠোসা সারাতে যা করবেন-

১. জ্বরঠোসার স্থানে বরফ ব্যবহার করলে ব্যথা কমে। এজন্য একটি কাপড়ে বরফ মুড়ে ক্ষত স্থানে ৫ মিনিট ধরে রাখুন। তবে ১৫ মিনিটের বেশি নয়।

ত্বকে সরাসরি বরফ লাগাবেন না, তাহলে ক্ষত আরও বাড়তে পারে। দৈনিক ৩ বার করে অন্তত ৫দিন ব্যবহার করুন আইসপ্যাক।

২. ২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জিংক অক্সাইড ও গ্লাইসিনযুক্ত একটি ক্রিম প্লেসবো ক্রিমের তুলনায় ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসকে কোষে প্রবেশ করতে বাঁধা দিতে জিংক অক্সাইডের ভূমিকা আছে।

এজন্য অবম্যই জিংক সালফেট সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। সাময়িক চিকিত্সার জন্য, আপনি দিনে ৪ বার করে ঘা না শুকানো পর্যন্ত জিংক অক্সাইড ক্রিম প্রয়োগ করতে পারেন।

৩. হারপিসসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে বাধা দিতে প্রাকৃতিক অরেগানো অয়েল বিশেষ কার্যকরী। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে পাতলা করে তেল প্রয়োগ করুন। একটি তুলোর বলে অরেগানো তেল দিয়ে সারাদিন কয়েকবার আক্রান্ত স্থানে লাগান।

৪. টি ট্রি অয়েলও বিভিন্ন প্রদাহ সারাতে কাজ করে। একটি তুলোর বলে চা গাছের তেল নিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার জ্বরঠোসায় ব্যবহার করুন। দেখবেন দ্রুত সেরে যাবে ঘা।

৫. সামান্য আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তুলোর বল ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে কয়েক মিনিটের জন্য ধরে রাখুন।

 যা করবেন না-

১. অনেকেই জ্বরঠোসা সারাতে ক্ষত স্থানে টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। যদিও সোডিয়াম লরিল সালফেট টুথপেস্টের একটি সাধারণ উপাদান, যা জ্বরঠোসা শুকাতে সাহায্য করতে পারে। তবে এর তেমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

২. টকজাতীয় ফল, টমেটো ও অ্যাসিডযুক্ত অন্যান্য খাবার যেন ঠোঁটের ক্ষতে না লাগে তা খেয়াল রাখুন।

আমাদেরকাগজ/ এএইচ