জাতীয় ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৫:৩৫

আইনের সংশোধনীতে আটকে আছে রাজাকারের তালিকা

ডেস্ক রিপোর্ট

অনিশ্চয়তা যেন কাটছে না মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর তালিকা প্রকাশ নিয়ে। ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিব্রতকর অবস্থায় পরলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

প্রত্যাহারের পর জানানো হয়, ২০২০ সালের স্বাধীনতা দিবসের আগেই নতুন করে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এখনো তার কোন খবর নেই। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধন করে সেই সুযোগ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জানা গেছে, আইন সংশোধন করে রাজাকারের তালিকা তৈরি এবং তা প্রকাশের এক্তিয়ার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে। তালিকা প্রকাশের উদ্দেশ্যে জামুকা আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং নিয়ে সেটি সংসদে উত্থাপনের কথা ছিল গেল বিজয় দিবসের আগেই, কিন্তু তা হয়নি। আর এ নিয়ে কার্যত সব ধরনের উদ্যোগ থমকে রয়েছে।

গতকাল রবিবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, সংসদের আগামী অধিবেশনে এটি বিল আকারে উপস্থাপন করা হতে পারে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই অধিবেশন শুরু হবে।

তিনি বলেন, আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত রাজাকারের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব নয়। আগামী স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চের মধ্যে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরো বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির যেসব নথি থানা ও জেলা কালেক্টরেটে ছিল, সেসব নথির অনেকগুলোই সুকৌশলে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই পরিপূর্ণ তালিকা পাওয়া কঠিন হচ্ছে। তত্কালীন ১৯ জেলার রেকর্ডরুমে যেসব দালিলিক প্রমাণ ছিল, সেগুলো দিতে বলা হয়েছিল; কিন্তু তা-ও এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এসব তালিকা খুঁজে পেতে সরকারের একাধিক সংস্থা কাজ করছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের তালিকা হিসেবে ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নাম প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ঐ তালিকায় অনেক শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতার নামও প্রকাশ পায়। বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে সর্বমহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। আন্দোলন-সংগ্রামও শুরু হয়ে যায়। বিব্রত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ তালিকা স্থগিত করার নির্দেশ দেন। তালিকাটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

 

সূত্র: ইত্তেফাক