নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে। এই সময়ে আমাদেরকে এই জায়গা থেকে সরে এসে ন্যূনতম একটা জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে বিভক্তি থাকলে ফ্যাসিস্ট শক্তি সবচেয়ে বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করা এবং গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতা, নায়ক ও অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক লড়াইয়ে বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ জনগণের পক্ষে থাকলেও আরেকটি অংশ ক্ষমতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলেও কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী দলীয় মতাদর্শ উৎপাদনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছে। ৫ আগস্টের পরও আমরা দেখছি, বুদ্ধিজীবীর নাম ব্যবহার করে জুলাই আন্দোলনের বিপক্ষে এবং গণহত্যার পক্ষে মত তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক প্রাক্কালে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধপন্থি লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ যেন একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে না পারে। গত ৫৪ বছরে মুক্তিযুদ্ধের সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমাদের বারবার সংগ্রাম করতে হয়েছে। ২০২৪ সালের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আবারও সেই আত্মত্যাগের লড়াই সামনে এসেছে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, জনগণের পক্ষে থাকা বুদ্ধিজীবীরা সবসময়ই ছিলেন এবং আছেন। দেশের চিন্তার স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার লড়াই ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় না। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা সেই সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করতে চাই। ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ এই তিনটি ঐতিহাসিক লড়াইয়ের চেতনা ধারণ করেই বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারে মানুষের আস্থা এখনো পুরোপুরি ফিরে আসেনি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা পুরো জাতি দেখেছে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি এই পরিকল্পনার সঙ্গে প্রশাসনসহ সরকারের ভেতরে ও বাইরে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।





















