জাতীয় ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০৯:৫১

অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে: ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। 

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বরিস ভ্যান বোমেল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন। 

সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন, বাণিজ্য ও কৃষি এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকটসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

ড. ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে অন্তর্বর্তী সরকারের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ভ্যান বোমেল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল এই সপ্তাহেই বাংলাদেশে পৌঁছাবে এবং নেদারল্যান্ডস এ মিশনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করছে।

দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। একে অপরের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি এবং একসঙ্গে অনেক কিছু গড়ে তুলতে পারি।

রাষ্ট্রদূত ভ্যান বোমেল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সাফল্য, বিশেষত সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণে উদ্ভাবনী কার্যক্রমে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ডাচ সাহায্য বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অর্থায়নের ঘাটতির কারণে কক্সবাজার ক্যাম্পে চলমান মানবিক কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এই সম্মেলন আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়াবে এবং ক্যাম্পের মানবিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সহায়ক হবে।

রাষ্ট্রদূত ভ্যান বোমেল সংকটটির জরুরিতা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি আরও বেশি আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।

সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।