লাইফস্টাইল ডেস্ক
কখনও কি আপনার ডেস্কে বসে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভেবেছেন, কখন ছুটি হবে? আপনি একা নন; আমাদের সবারই কম-বেশি এই অভিজ্ঞতা আছে। অফিসের কাজ কখনও কখনও একঘেয়েমি নিয়ে আসতে পারে। তখন সময়কে অনেক দীর্ঘ মনে হয়। বিশেষ করে যখন কাজগুলো যখন একইরকম হয়।
কর্মক্ষেত্রে একঘেয়েমি নীরবে আপনার ক্ষতি করছে। কিছু বোঝার আগেই আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়, শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায় এবং দিনের বাকি সময়টি একটি অন্তহীন চক্রের মতো মনে হয়। এটি আমাদের প্রোডাক্টিভিটি, ক্রিয়েটিভিটি এবং স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অফিসের কাজে একঘেয়েমি দূর করার উপায়-
কিছু পরিবর্তন আনুন
আপনার অফিস ডেস্কে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন। সেইসঙ্গে পরিবর্তন আনুন আপনার একঘেয়ে রুটিনেও। আপনার পছন্দের কিংবা আগ্রহের জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখতে পারেন অফিস ডেস্কে। একটা গাছের টব, একটা রঙিন কলমও আপনার কাজে অনেকটা একঘেয়েমি কাটিয়ে দিতে পারে। কারণ আমাদের মস্তিষ্ক বৈচিত্র পছন্দ করে।
ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ নিন
নিজেই নিজের কাজগুলো ছোট ছোট ভাগ করে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। যেমন আধা ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কোনো কাজের অর্ধেকটা করার টার্গেট নিন। তখন এটি একটি খেলা বলে মনে হবে। সময়ের আগে কাজ শেষ করা মানে আপনি জয়ী। এভাবে আপনার মস্তিষ্ক কাজকে খেলাচ্ছলে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মেনে নেবে। তখন একঘেয়েমি অনেকটাই দূর হবে।
খানিক বিরতি নিন
একটি সাধারণ স্ট্রেচ, ব্লকের চারপাশে হাঁটা অথবা ডেস্কেই কিছু তাৎক্ষণিক ব্যায়াম বিস্ময়করভাবে কাজ করে। এই ছোট বিরতিগুলো মনকে সতেজ করে, ক্লান্তি কমায় এবং শক্তি নিয়ে কাজে ফিরে আসতে সাহায্য করে। প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর এভাবে মিনিট দশেকের বিরতি নিন। এতে কাজের একঘেয়েমি কাটবে।
নতুন কিছু শিখুন
বড় হওয়ার জন্য বিরক্তিকর মুহূর্তগুলোই কাজে লাগান। আপনার কাজ সম্পর্কিত কোনো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়তে পারেন। পডকাস্ট শুনুন অথবা ডকুমেন্টরি দেখুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে কাজে ব্যস্ত রাখবে। তখন আর একঘেয়েমি আসবে না। নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আপনি আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন।