নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মৃত্যু নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখন ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নেত্রকোনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মানু মজুমদারের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেল। এমপি আনারও চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে মানু মজুমদার মারা যান।
বুধবার (২২ মে) ভারত থেকে মরদেহ আনা ও পরবর্তী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও মানু মজুমদারের পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেবেন এবং সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এর আগে শনিবার তিনি স্ট্রোক করে দেশের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার চিকিৎসার জন্য স্বজনরা তাকে ভারতে নিয়ে যান।
সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয় বলে সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম উদ্দিন।
মানু মজুমদার স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার দুই মেয়ে যথাক্রমে কানাডা ও পর্তুগালে থেকে পড়ালেখা করেন। তাই মেয়েরা দেশে এলে সৎকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বর্ষিয়ান নেতার পৈতৃক বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে। তার শ্বশুরবাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা সদরের মনতলা এলাকায়। তিনি প্রায় এক দশক আগে কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাঁও এলাকায় বাড়ি করে সেখানে ও ঢাকায় বসবাস করতেন। ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের নেতা ছবি বিশ্বাস তার স্ত্রীর বড় ভাই।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে গ্রেফতার হওয়ার পর তৎকালীন সামরিক আদালতের বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় মানু মজুমদারের। পরে ১০ বছর জেল খেটে ১৯৮৫ সালে কারামুক্ত হন এই প্রতিরোধযোদ্ধা। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মানু মজুমদারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বুধবার এক শোক বার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আমাদের কাগজ/টিআর
