নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনার টিকা প্রয়োগে অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করতে উপজেলাভিত্তিক কমিটি গঠন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ১৩ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
এ কমিটি করোনার টিকা প্রয়োগের সার্বিক কার্যক্রম সম্পাদন করবে। কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পৌরসভার মেয়র, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, আইসিটি অধিদফতরের সহকারী প্রোগ্রামার, দু’জন গণ্যমান্য ব্যক্তি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনোনীত), স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করে এমন দুটি এনজিও’র প্রতিনিধি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোনীত)। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারির কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর অগ্রাধিকার তালিকা প্রণয়নে কাজ করবে এই কমিটি।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। একজনকে দুই ডোজ করে দেড় কোটি মানুষকে বিনামূল্যে এই টিকা দেয়া হবে।
ভ্যাকসিন কারা পাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা গাইডলাইন অনুযায়ী ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, পুলিশ, প্রশাসনের লোক, বয়স্ক লোক, বাচ্চারা আগে পাবে।
গতকাল বুধবার (১৬ মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে আসবে।






















