হাসান শাওন ।।
বাংলাদেশের সমৃদ্ধি যে অভিবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে ভর করে দাড়িয়ে আছে সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু অভিবাসন খাত রয়েছে ঝুঁকিতে। একথাই মঙ্গলবার স্বীকার করেছেন পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেফ, অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্র দেখলে বিষয়টি বোঝা যায়। এই বিষয়টি আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, শুধু অভিবাসীরা কোথায় আছে এবং কত টাকা পাঠাচ্ছে সেটি নিয়ে আমরা বিবেচনা করি। অভিবাসনের একটি খারাপ দিকও আছে, যেটি নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’
অভিবাসন একটি বিতর্কিত বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৩টি দেশ যারা আগে বিষয়টি সমর্থন করতো তারা এখন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট থেকে বের হয়ে যেতে চাচ্ছে।’
গণমাধ্যমে বেশ কিছু দিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে নারী শ্রমিকদের ফিরে আসার ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছিল। এর মধ্যেই পররাষ্ট্র সচিবের এই মন্তব্য দেশের অভিবাসন খাত নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তা করার সুযোগ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাই।
বাংলাদেশিরা কর্মঠ ও চাকরিদাতার প্রতি অনুগত এ কথা সবাই মানেন। তবুও নিরাপদ অভিবাসন এখনও কাঙ্খিত জায়গায় পৌছেনি।
এর একটি কারণ হতে পারে বাংলাদেশ এখনও দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারছে না বিদেশে। অদক্ষ বা আধা দক্ষ শ্রমিকরা বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনা। ফলে শুরুতেই তারা বিপদে পড়ে যায়। এরপর কর্মক্ষেত্রে তাদের অদক্ষতার সুযোগ নেয় মালিকরা। নারী শ্রমিক হলে তারা শিকার হন যৌন হয়রানির। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দূতাবাস এই প্রবাসীদের পাশে দাড়ায় না। ভিন দেশে এক বিপর্যস্ত জীবন কাটে অভিবাসীদের।
এখন বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর কাতারে আর নেই বাংলাদেশ। তবে সে দেশের নাগরিক ভিন দেশে গিয়ে নিপীড়নের শিকার হবেন এটা আর মেনে নেওয়া যায় না। তাই সরকার ও এ খাত সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহবান থাকবে অভিবাসীদের প্রতি যত্নবান হওয়ার। অতি লোভে আমরা যেন স্বর্ণগর্ভা হাঁসটিকে হত্যা না করি।






















