ডেস্ক রিপোর্ট ।।
নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এসএসসির ফরম পূরণ করতে পারছে না ফারজানা আক্তার। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছিল সে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছে সে।
জানা গেছে, ফারজানা আক্তার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং চান্দুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।
২০১৭ সালে ওই বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফল প্রকাশের পর সে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেণিতে তাকে নিবন্ধন করায় এবং বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
গত ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী পরীক্ষায় ফারজানা সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়। এরপর এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হলে তার কাছ থেকে এ বাবাদ ৪ হাজার ২৫০ টাকা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছিল একথা বলে তারা দু’দিন পরে ফারজানাকে টাকা ফেরত দেয়। এ ঘটনা জানতে পেরে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসীর প্রশ্ন ফারজানা যদি জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেও থাকে তাহলে কীভাবে তাকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলো? এই ভুলের খেসারাত এখন কে দেবে?
এ ব্যাপারে গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফারজানা নামে দশম শ্রেণিতে কামারপাড়া গ্রামের এক ছাত্রী রয়েছে। সে ওই ফারজানার রোল নম্বর দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।






















