লাইফ স্টাইল ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ১০:১৬

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানা ফুল

আমাদেরকাগজ ডেস্ক: বাংলাদেশের বিল-ঝিল-হাওর-বাঁওড়ে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে। এসবের মধ্যে কিছু আছে যা আমাদের কাছে সৌন্দর্য বর্ধক, দৃষ্টিনন্দন, উপকারী কচুরিপানা বিভিন্ন নদী-নালা-খাল বিল, পুকুর, ডোবায় ও জলাশয়ে ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এবং জৈব সার তৈরিতে সাহায্য করে। কচুরিপানা ও তার ফুল জনপ্রিয় না হলেও বিভিন্ন সময়ে মাছ, গবাদিপশুর খাদ্য ও জৈব সার হিসেবে এর ব্যবহার হয়ে থাকে।

দিগন্ত জুড়ে দেখা মিলছে সাদা-বেগুনি রঙের বাহারি ফুল। যেন অপরূপ সৌন্দর্য্যের এক চারণ ভূমি। প্রকৃতির সাথে রূপকথার গল্পের মতো আপন মনে মিশে সৌন্দর্যকে আরও বেশি অলংকরণ করছে। রূপে রূপান্তর ঘটেছে মাঠের পর মাঠ। এমন ভাবে প্রকৃতিতে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল।

বহুবর্ষজীবী মুক্তভাসমান একটি জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা। যার আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকায়। এটি প্রচুর বীজ তৈরি করে যা ৩০ বছর পরও বংশবিস্তার ঘটাতে পারে। অনেকের ধারণা কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্যপ্রেমিক এক ব্রাজিলীয় পর্যটক ১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলায় কচুরিপানা নিয়ে আসেন। তারপর তা দ্রুত বাড়তে থাকে। পরে বাংলার প্রায় প্রতিটি জলাশয় ভরে যায়। গ্রামাঞ্চলে এই কচুরিপানা ফুলটিকে অনেকে ‘হেনা’ বলে ডাকেন। কিছু এলাকায় এটি ‘কস্তুরি’ ফুল নামেও বেশ পরিচিত।

সরেজমিনে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের শহরগোপিনপুর বাজারের পশ্চিমপাশে খালপাড় এলাকায় কচুরিপানা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য্যের দৃশ্য দেখা যায়। ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের দুপাশেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। সড়কে পথচারীরা কেউ কেউ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন এ সৌন্দর্য। অনেক শৌখিন প্রকৃতি প্রেমিরা ক্যামেরা বন্দী করছেন এ মনোরম দৃশ্যের।

প্রকৃতিপ্রেমিক ও আলোকচিত্রী শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক নানা ছবি তোলেন। বহু রকম ফুলেরও ছবি তুলেছেন। কিন্তু একসাথে কচুরিপানার এত ফুল দেখেননি। তাই ছুটে এসেছেন ছবি তুলতে।

এ বিষয়ে সরকারি সা’দত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান আহমেদ জানান, মুক্ত জলাশনে ফুটন্ত কচুরিপানা ফুল প্রকৃতিতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। এ অরূপ সৌন্দর্য মনকে মাতিয়ে যাচ্ছে। উষ্ণতা বয়ে আনছে প্রকৃতিপ্রেমিদের হৃদয়ে।

আমাদেরকাগজ/ এএইচ