অর্থ ও বাণিজ্য ১৯ নভেম্বর, ২০২২ ০৬:১৪

বাড়তি দামেও মিলছে না তেল-চিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিল মালিকদের প্রস্তাবে দাম বাড়ানো হলেও ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ সংকট কাটেনি। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে চাহিদা অনুযায়ী এ দুটি পণ্য পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও বাড়তি দাম দিতে হয়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা নতুন দামে চাহিদা (অর্ডার) নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তেল-চিনি সরবরাহ করেনি। তাই সংকট কাটেনি।

এদিকে মিল মালিকরা বলছে, এরই মধ্যে ডিলারদের কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোনো দোকানেই নেই ৫ লিটারের বোতল সয়াবিন তেল। কয়েকটা দোকানে এক মুঠো হাফ লিটার বা ১ লিটারের বোতল আছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। এক্ষেত্রে ১৭২ টাকার পরিবর্তে নির্ধারিত মূল্য ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বাজারে অস্থিতিশীলতা ও সংকটের সুযোগ নিয়ে অনেকেই বোতল খুলে বেশি দামে তেল বিক্রি করছে। এতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্যাকেটজাত চিনির ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ।

গত বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন উৎপাদকরা। নতুন দামে সয়াবিন তেলের ১ লিটারের বোতলের দাম ১৭৮ থেকে বাড়িয়ে ১৯০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৮০ থেকে বাড়িয়ে ৯২৫ এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৫৮ টাকার পরিবর্তে ১৭২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এ ছাড়া খোলা পাম অয়েলের নতুন দাম প্রতি লিটার ১২১ টাকা। আর প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনির দাম ১৩ টাকা বেড়ে হয়েছে ১০৮ টাকা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার প্রতিবেদনে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সয়াবিন ও চিনি বিক্রির চিত্র ওঠে এসেছে।

আমাদেরকাগজ/এইচএম