অর্থ ও বাণিজ্য ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৪১

ফুলকপিতে এগিয়ে মাগুরা, দিনে ৫ লাখ টাকা বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদন

ফুলকপি চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন মাগুরার কৃষকরা। প্রতিদিন রাতেই চলে যাচ্ছে ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের নানা প্রান্তে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন- দক্ষিণাঞ্চলে শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপির গুণাগুণ ভেদে মাগুরা জেলার সুনাম রয়েছে। এ জেলার ফুলকপি স্বাদের দিক দিয়ে এগিয়ে তাই চাহিদাও রয়েছে দেশের নানা অঞ্চলে।

প্রতি বছর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বাজারে দেখা যায়। এ সময়টা মাগুরার চার উপজেলায় ব্যাপক আকারে ফুলকপি বাজারে আসতে শুরু করে। ডিসেম্বরের আগেই মাগুরার নানাপ্রান্ত থেকে ফুলকপি বাজারে আসতে শুরু করেছে। মাগুরা সদর উপজেলাসহ, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে চাষ হয়েছে ফুলকপি।

কৃষক ওবায়দুল্লাত জানান, শীতের শুরুতে তারা খ্তে থেকে ফুলকপি তুলে পাইকারি বাজারে বিক্রি শুরু করেছেন এবং ভালো দামও পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন- শীতের সবজির চাহিদা ভালো থাকে তবে অন্যান্য সবজির তুলনায় ফুলকপি খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি থাকে।

কৃষক নিজাম মোল্যা জানান- এ বছর তিনি প্রায় ৪ একর জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। তিনি প্রতিবছর বড় আকারে ফুলকপি চাষ করে থাকেন।

এবছর তিনি ফুলকপি এ পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। গত বছরে ১২ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করলেও এবছর তিনি ১৭ লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন।

মাগুরা পাইকারি একতা বাজারের সভাপতি আকরাম মোল্যা জানান- গত বছরের তুলনায় এবার শীতে ফুলকপির সরবরাহ বেশি। গত তিন সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার ফুলকপি দেশের নানা প্রান্তে বিক্রি হয়েছে। এবার কোটি টাকার ফুলকপি বিক্রি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন- শীতের সবজি হিসেবে ফুলকপির চাষ লাভজনক হওয়ায় জেলার কৃষকরা এবার ভালো সফলতা পেয়েছেন।

তিনি বলেন- জেলায় এবছর ১৩০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে এ চাষ সফল করার জন্য কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কৃষকদের মধ্যে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা প্রদান করেছে বলেও নিশ্চিত করেছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।