ডেস্ক রিপোর্ট।।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বরগুনায় গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ। একই সাথে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধেও। যদিও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশেই সকল নথিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। আর জেলা প্রশাসন বলছে, তদন্ত সাপেক্ষে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
বরগুনায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত গুচ্ছ গ্রামের ঘরগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর হয়নি এখনও। তবে তার আগেই নড়ে গেছে ভিটে, মরিচা ধরেছে চালে। এমন দৃশ্য বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী সৈকত, সোনাকাটা নিদ্রাচর ও কবিরাজ পাড়ার তিনটি গুচ্ছ গ্রামের নবনির্মিত ঘরের।
অভিযোগ উঠেছে, সম্পূর্ণ নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই ঘর নির্মাণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। একই সাথে প্রকল্প হস্তান্তরের আগেই মৌখিকভাবে প্রায় অর্ধশত পরিবারকে গুচ্ছগ্রামের ঘরে থাকতে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ। এরমধ্যে সোনাকাটায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আছে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও।
এ ব্যাপারে বরগুনার তালতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে ত্রুটিগুলো সংশোধনের জন্য।
বরগুনার তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুলতান ফরাজী বলেন, গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ নিয়ে কোন অভিযোগ কেউ জানায় নি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুলতান ফরাজী।
বরগুনার তালতলীর সোনাকাটা ইউপির সংরক্ষিত নারী সদস্য ময়না বেগম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কথায় স্বাক্ষর করেছেন তিনি। বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, অভিযোগের সত্যতা মিললে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তিনটি গুচ্ছ গ্রামে ১৪৮টি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেয় ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। একই সাথে ৪২৭ মেট্রিকটন চালও।




















