বিনোদন ডেস্ক : হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা কাজল। তার অভিনয়ের জাদুতে তিন দশক ধরে বুঁদ আসমুদ্র হিমাচল। তবে এই বঙ্গতনয়া নাকি পর্দায় এই কাজটা করতে গেলে বরাবর ঘাবড়ে যান। তার কথায়, ‘যৌ* লালসা’ বা ‘লাস্ট’ এই ইমোশন অন-ক্যামেরা ফুটিয়ে তুলতে বেগ পেতে হয়েছে তাকে।
শিগগিরই নেটফ্লিক্সের অ্যান্থোলজি সিরিজ ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’তে দেখা মিলবে অজয় দেবগণ ঘরণীর।
ছবির প্রমোশনে কাজল স্মৃতির পাতা উলটে ফিরলেন নব্বইয়ের দশকের গোড়ায়। নরেশ মালহোত্রার ‘ইয়ে দিল্লাগি’ (১৯৯৪) ছবির ‘হোঁঠো পে বস তেরা নাম হ্যায়’ গানের শ্যুটিং চলছে, হেসেই খুন কাজল। পর্দায় উষ্ণ রোমান্স ফুটিয়ে তোলার বদলে নায়ক সাইফ ও নায়িকা কাজলের হাসি দেখে নাকি বেজায় চটেছিলেন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। বকা খেতে হয়েছিল সাইফ-কাজলকে।
কাজল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দুটি জিনিস আমার মধ্যে নেই— সেক্সি-ভাব আর লজ্জা। যখন আমাকে কেউ বলে একটু লজ্জা পেতে হবে, আমি পালটা বলি- সেটা আবার কী! সেটা যদি কেউ অভিনয় করে দেখায়, আমি বলি- ও আমাকে চোখ নামিয়ে ফেলতে হবে। ঠিক আছে! আমার মধ্যে ভেতর থেকে ওই লজ্জাভাব আসে না। তবে আমাকে কী করতে হবে দেখিয়ে দিলে, সেটা করে দেব।’
এরপর অভিনেত্রী যোগ করেন, ‘সরোজজি (খান) আমাদের তো প্রায় চড় মারতে এসেছিল। আমি আর সাইফ এত হাসছিলাম যে সরোজজি রেগে বললেন, ‘তোমরা খুব অভদ্র’। আমি নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি যৌ* লালসা পর্দায় ফুটিয়ে তোলার। কিন্তু অন্যদের উপর নির্ভরশীল হতে হতো। বলতাম, এডিট টেবিলে একটু সামলে নিও। প্লিজ একটু ক্লোজ-আপ শট নিয়ে নাও।’
আমাদেরকাগজ/এইচএম






















