বিনোদন ডেস্ক: আদালত থেকে অনুমতি পাওয়ার পরেও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। এমনকি, বোনকেও আর ফোনে পাওয়া যায় নি!
সোমবার আদালতের কাছে তাই মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার আকুতি জানালেন অর্পিতা। জানালেন, মা বা বোন, কারও সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়া হোক।
এখন আলিপুর জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থের বান্ধবী। পুজোর সময় এক আইনজীবী এবং এক আত্মীয় চারটি নতুন শাড়ি আর কিছু পোশাক দিয়ে গিয়েছিলেন অর্পিতাকে। ওই শাড়ি পরেই পুজো কেটেছে একদা নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোর ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’-এর।
সূত্রে জানা গেছে, অর্পিতা জানিয়েছিলেন, বেলঘরিয়ায় পাড়ার পুজোর মা দুর্গা আর অসুস্থ মাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে তাঁর। সে আর হয়ে ওঠেনি। তাই মায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়েছিলেন। সেই আবেদন গ্রহণও করেছিলেন বিচারক। কিন্তু তার পরেও কথা হয়নি। সোমবার অর্পিতার আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন ‘আনরিচেবল’ ছিল। বোনের সঙ্গেও কথা বলতে পারেননি অর্পিতা।
বিচারকের কাছে অর্পিতার কাতর আবেদন, ‘‘কোনও কারণে আমি মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। আদালত অনুমতি দিলে আমি জানতে পারব মা কেমন আছে।
সব শুনে বিচারক জানান, জেল সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন। এর পর আবার মা কিংবা বোনের সঙ্গে এক বার কথা বলতে চেয়েছেন অর্পিতা।
উল্লেখ্য, সোমবার প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ আবার জামিনের আবেদন করেছেন। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পার্থের হয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘‘উনি ৯৯ দিন ধরে হেফাজতে আছেন। উনি অসুস্থ। তার মেডিক্যাল রিপোর্টও আছে। তা ছাড়া ওঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তা তো চার্জশিটেই বলা রয়েছে। তা হলে ওঁকে আরও তদন্তের জন্য কেন জেল হেফাজতে রাখতে হবে?’’ আদালত অবশ্য পার্থের ওই আর্জির আবেদনে রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে।
আমাদের কাগজ/ ইদি






















