বিনোদন ডেস্ক
ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা হচ্ছে ‘পদ্মশ্রী-২০২১’ খেতাব এবার সে খেতাব পাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এমন প্রাপ্তির খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান সনজীদা খাতুন। তিনি বলেন, আমরা কাজ করি নিজের মনের আনন্দে। কারণ, কাজ করতে ভালো লাগে। মনে করি, কাজটা নিজের কর্তব্য যেটা করা উচিত। সেজন্য যখন কোনও স্বীকৃতি আসে, সেটা বাড়তি আনন্দ এনে দেয়। মনেহয় কাজটা নিজের মনে করি বটে, কিন্তু মানুষও সেটা লক্ষ্য করে যে কিছু করছি। এই লক্ষ্য করাটা আনন্দের কারণ হয়।
ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ছায়ানট সভাপতি বলেন, ভারতের জাতীয় পুরস্কার পদ্মশ্রী আমাকে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আমি মনে করি, এত বড় সম্মান আমার জন্য বিশেষ আনন্দের। আমাদের দেশবাসীও এতে সন্তুষ্ট। সবাইকে আমার অন্তরের কৃতজ্ঞতা জানাই।
সনজীদা খাতুন একাধারে রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বর্তমান সভাপতি। এছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। প্রচলিত ধারার বাইরে ভিন্নধর্মী একটি শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দা’র সভাপতি তিনি।
সনজীদা খাতুন ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী-২০২১’ খেতাব বাংলাদেশ থেকে আরও পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সাল থেকে ভারত সরকার শিল্পকলা, শিক্ষা, বাণিজ্য, সাহিত্য, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সমাজসেবা ও সরকারি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিশেষ ব্যক্তিদের এই সম্মান প্রদান করে আসছে।






















