বিনোদন ডেস্ক।।
অতিরিক্ত ধর্মীয় অনুশাসন বা একাকী জীবন এগুলোর সবই বিপর্যস্ত করে দেয় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে। আটকে দেয় মানুষের মৌলিকতা ও স্বাধীনতাকে। যা ধীরে ধীরে কুঁড়ে খায় মানুষকে। ফলে একটি পর্যায়ে গিয়ে নিঃশেষ হয়ে যায় একটি প্রাণবন্ত প্রাণ। তাই ‘ধর্মীয় অনুশাসন, সমাজ একা মানুষের স্বাধীনতাকেও আটকে রাখে। খোলা আকাশে নিশ্বাস নেওয়ার, স্বাভাবিক বন্ধুতারও অধিকার নেই তার’ কথাগুলোকে মূল ভিত্তি করে দুই বাংলার যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে ভিন্ন ধারার ছবি 'গণ্ডি'।
ঢাকা থেকে এই নির্মম সত্যের উপর আলো ফেললেন ‘ভুবন মাঝি’-র পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান। তার ছবি ‘গণ্ডি’র শুটিং নিয়ে তিনি এখন ব্যস্ত। শুভজিৎ রায়ের ‘পথের সাথী’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ‘গণ্ডি’।
দুই বয়স্ক মানুষ বাড়িতে একা। তাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে। তাদের মধ্যে আলাপ জমে। দেখা হয় রোজ। কিছু প্রেমাস্পর্শ। তারপর? খুব চেনা ছবি থেকে অচেনা গল্প বলেছেন শুভজিৎ রায়।
ভিন্ন ধারার এই ছবি সম্পর্কে শুভজিৎ রায় জানান, এই অচেনা গল্প ঘিরে রয়েছেন দু'জন প্রটাগোনিস্ট। নিজের সিদ্ধান্তে তারা নিজেরা বাঁচতে চান। একজন পুরুষ আর একজন নারী। কী সেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত? কেনইবা তৈরি হয় সেই সিদ্ধান্তের বিরোধী পক্ষ? এই নিয়েই গল্প চালিয়ে গেছে চিত্রনাট্য।
এই ‘গণ্ডি’র বন্ধুতা কোনো সমাজ, ধর্ম বা কাঁটাতার মানে না। এখানে মানুষের অন্তর সমস্যার মানসিক দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়। বন্ধুত্বের মতো মানবিক জায়গা আজ কোন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে? ভিন্ন ধর্মে কি বন্ধুতা হয় না? বয়স্ক দু’জন মানুষের বন্ধুতা কেন তার ছেলে-মেয়েদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না? সেই জায়গা থেকে ‘গণ্ডি’ শব্দটা বেছে নেওয়া।
এছাড়াও পরিচালক আরও জানালেন, কলকাতার অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। দু'জনেই অভিজ্ঞ! আমিই বরং নতুন। পুরো টিমের সঙ্গে দারুণ সহযোগিতায় কাজ করছেন তারা। আর সব্যসাচী চক্রবর্তী বাংলাদেশে যে কী জনপ্রিয় তা উনি নিজেই জানতেন না। একজন রিকশাওয়ালাও শুটিংয়ের ফাঁকে উনি দেখে চমকে সেলফি তুলেছিল।
ছবিটির শুটিং এর বিষয়ে পরিচালক জানান, মূল শুটিং হবে লন্ডন আর কক্সবাজারে। এছাড়াও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত গানও রাখা হয়েছে এই ছবিতে। এই ছবিতে একটি গানের দায়িত্বে আছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।
তিনি আরও জানালেন, সেই গান রূপঙ্কর গাইবেন। আর একটি গান গাওয়ানোর চেষ্টা চলছে অঞ্জন দত্তকে দিয়ে। মূলত চিন্তার গণ্ডিবদ্ধতাকেই প্রশ্ন করছে এই ছবি।






















