বিনোদন ডেস্ক
গত শুক্রবার বিবাহবিচ্ছেদের সংবাদ দেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আজ রোববার ডিভোর্স নিয়ে ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে মানুষটার সঙ্গে গত পাঁচ বছর আমার জীবন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে ছিল, সেই মানুষটার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে, যা চাইলেই হঠাৎ করে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বিচ্ছেদের পরে তাঁকে কীভাবে ছোট করি।’ বিচ্ছেদের পর সম্পর্কের শেষটাও সুন্দর হতে পারে। সে রকমই প্রত্যাশা অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। সাবেক স্বামীর সঙ্গে পাঁচ বছরের সম্পর্কটাকে ছোট করতে চান না তিনি।
শুরুতে নিজেদের বিচ্ছেদের খবর কাউকে জানাতে চাননি ফারিয়া-অপু। পরে তাঁদের মনে হয়, বিচ্ছেদ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা না দিলে পোর্টালগুলো ইচ্ছেমতো মুখরোচক খবর প্রকাশ করবে। এ জন্যই যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচ্ছেদের খবর জানান। এ নিয়ে ফেসবুকে ফারিয়া লিখেছেন, কাউকে অসম্মান করে কেউ বড় হতে পারে না। বিচ্ছেদ হলেও এখনো অপুর প্রতি সম্মান আছে তাঁর। তবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে আসার পেছনের আসল ঘটনা তাঁদের পরিচিতজন ও পরিবারে সদস্যরা জানেন। তবে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘যথেষ্ট কারণ না থাকলে মানুষটার সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে আসতাম না।’

কেন সংসার ভাঙল প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে ফারিয়া জানান, ‘সমস্যা যতটা না আমাদের দুজনের, তার চেয়ে বেশি আমাদের দুই পরিবারের। আমার বাবা নেই, মাকে নিয়ে আমার পরিবার। তার ওপর আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করি। আর দশজন মেয়ের বিবাহবিচ্ছেদ আর আমার বিবাহবিচ্ছেদ একেবারে ভিন্ন। আমি একটা মেয়ে, আমাদের সমাজ মেয়েদের দোষটাই আগে দেখবে জানি। সে কারণে অনেকভাবে চেষ্টা করেছি, যাতে সংসারটা টেকে। কিন্তু কোনোভাবেই সেটা সম্ভব হয়নি।’

উল্লেখ্য, গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকুরীজীবী হারুন অর রশীদ অপু। এদিন নৌকায় ভেসে ভেসে পরীর বেশে বিয়ের আসরে হাজির হন নববধূ শবনম ফারিয়া! অন্যদিকে একই সময়ে লেকের পাড় ধরে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে এলেন বর হারুন অর রশিদ অপু। এমন নান্দনিক বিয়ের আয়োজন এর আগে কোনও শিল্পীকে ঘিরে হয়নি আগে। মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার গভীরে, নয়নাভিরাম ‘জল-জোছনা’য় উন্মুক্ত আকাশের নিচে আয়োজিত হয় এটি।
জানা যায়, ২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ফারিয়া-অপুর পরিচয় হয়। দুজনের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তিন বছর পর বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটিবদল হয় তাদের। এরপর বিয়ের পিড়িতে বসেন তারা।






















