বিনোদন ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৩৬

মান্না দে মানেই যেন প্রেম, ভালোবাসা, বিরহের সংমিশ্রন

বিনোদন ডেস্ক  

আশির দশকের সেই বিক্ষাত ‘কফি হাউজ’ গানটি আজও নবীন-প্রবীণদের মুখে মুখে শোনা যায়। কিন্তু সেই গানের শিল্পীকে আর এমন হৃদয় ছোয়া গান গাইতে দেখা যাবে না। আজ সেই গানের সঙ্গীত শিল্পী মান্না দে’র প্রয়াণ দিবস।

মান্না দে মানেই যেন  প্রেম, ভালোবাসা, বিরহের সংমিশ্রন। জীবনের প্রতিটি অনুভূতির সঙ্গে মান্না দে’র গানের কথার কী এক নিদারুণ মিল রয়েছে। তাইতো আজও নিববে গুন গুন করে বেজে উঠে...

কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই
আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেল
সোনালী বিকেলগুলো সেই
আজ আর নেই ।

ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একজন সঙ্গীত শিল্পী তিনি। সঙ্গীত জগতে সর্বকালের সেরা গায়ক বলা হয় তাকে। আজ এই শিল্পীর প্রয়াণ দিবস। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই কিংবদন্তি শিল্পীর চলে যাওয়ার সাত বছর হয়ে গেল।

১৯১৯ সালের ১ মে জন্ম নেওয়া শতবর্ষ পার হওয়া মান্না দে’র আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। সঙ্গীতে তার প্রথম হাতে খড়ি কাকা সঙ্গীতাচার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র কাছে। ১৯৪২ সালে কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র হাত ধরেই মুম্বাই আসেন তিনি। কাকার সংগীত পরিচালনায় ‘তাম্মানা’ ছবিতে প্রথম গান করলে তা জনপ্রিয় হয়। ১৯৫০ সালে শচীন দেব বর্মণের সংগীত পরিচালনায় ‘মশাল’ ছবিতে ‘ওপার গগন বিশাল’ নামে একক গান গাওয়ার সুযোগ পান। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক বাংলা, হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। গান গাওয়ার পাশাপাশি সঙ্গীত পরিচালনাও করেন। সঙ্গীত জীবনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গান রেকর্ড করেছেন মান্না দে।

অনেক ধরনের গান গাইলেও প্রেম, ভালোবাসা আর বিরহের গানে অমর হয়ে আছেন মান্না দে। তার উল্লেখ্যযোগ্য গাঙ্গুল হল– ‘শুধু একদিন ভালোবাসা/ মৃত্যু যে তারপর/ তাও যদি পাই, আমি তাই চাই/ চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর। কিংবা ‘এত ভালোবেসে তবু মিটল না সাধ/ কতটুকু বলো এ জীবন/ হায় প্রেম যে অগাধ।’ কবি বটকৃষ্ণ দে’র লেখা ‘ওগো প্রেম, তুমি প্রথমের থেকেও প্রথমা/ তোমাকে ভালো না বাসলে মন পাওয়া যায় না/ সুরে না ভাসলে গান গাওয়া যায় না।’

সঙ্গীত অসামান্য অবদানের জন্য তিন বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মান্না দে। ১৯৭১ সালে ভারত সরকার তাকে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার দেয়, ২০০৫ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করে। ২০০৭ সালে তিনি পান ‘দাদা সাহেব ফালকে’ সম্মান। ২০১১ সালে রাজ্য সরকার তাকে ‘বঙ্গ বিভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করে।