আন্তর্জাতিক ২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৫:৫৫

আমিরাতি ড্রোনের হামলায় লিবিয়ায় গর্ভবতীসহ নিহত ১১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

লিবিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় মারজাক শহরে রবিবার (১ ডিসেম্বর) এক ড্রোন হামলায় গর্ভবতী নারী ও শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট লিবিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা খলিফা হাফতারের সমর্থনে আমিরাতি ড্রোন ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে নয়জনই শিশু। বাকি দুইজন নারী। দুই নারীর একজন গর্ভবতী ছিলেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।

লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত ত্রিপোলিভিত্তিক ন্যাশনাল অ্যাকর্ড গভর্নমেন্ট বা জাতীয় ঐকমত্যের সরকার (জিএনএ)-এর পক্ষ থেকে এ ড্রোন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, সেখানে নয় শিশু ও দুই নারীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এর আগে গত নভেম্বরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছেই একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে আমিরাতি হামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাত কর্মী নিহত হয়। আহত হয় আরও ১৫ জন।

জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেল-সমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ঐ ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়। তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর হাতে রয়ে গেছে। পশ্চিমাঞ্চলে জিনএনএ-র কর্তৃত্ব থাকলেও পূর্ব ও দক্ষিণের বেশিরভাগ অঞ্চল হাফতার বাহিনী এলএনএ-র দখলে। গত এপ্রিলে এ বাহিনী লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।