আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
জাতিসংঘের আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলাকে ‘আশীর্বাদ’ হিসেবে দেখছে সে দেশের সেনাবাহিনী। অতীতের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্য মিন তুন জোর দিয়ে দাবি করেছেন, স্থানীয়রা নয়, রাখাইন সংকটের কারণ ‘বহিরাগত’রা। উল্লেখ্য, শুরু থেকেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া অবৈধ অধিবাসী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে আসছে নেপিদো। জেনারেল জ্য মিন তুন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মামলায় সেই বিষয়টিই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবে তারা।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে গত ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)-এ মামলা করে গাম্বিয়া।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দায়ের করা মামলায় সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা দেবে তারা। ওই মামলার শুনানি হবে ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর। এতে মিয়ানমারের পক্ষে লড়বেন রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি'র নেতৃত্বাধীন একটি দল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্য মিন তুন শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, সেনাবাহিনী এই মামলাকে আশীর্বাদ হিসেবে নিয়েছে কারণ এর মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা হাজির করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে রোহিঙ্গারা রাখাইনে থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। এমন কি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বেসামরিক সরকার প্রধান সু চিও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহারই করেন না।
