ডেস্ক রিপোর্ট
সিরিয়ায় সাধারন কুর্দিদের হত্যা ও নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে মুঠোফোনের কিছু ভিডিওতে। যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ ঘটেছে, তাতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বে কুর্দি মিলিশিয়াদের সঙ্গে তুরস্ক সমর্থিত বাহিনীর লড়াইয়ে এসব হত্যা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। যার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না তুরষ্ক।
গত রোববার (৪ নভেম্বর) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির স্মার্টফোনে তোলা ফুটেজে দেখা গেছে, একজন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছেন। পেছনে পড়েছিল কুর্দি যোদ্ধাদের মরদেহ। আরেকটু দূরে কয়েকজন পুরুষ কুর্দি নারী যোদ্ধা আমারা রেনাসের রক্তাক্ত মরদেহ পা দিয়ে মাড়াচ্ছিলেন। একজন ওই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। যা পরবর্তিতে ওয়াইপিজি মিডিয়ায় প্রচার করা হয়।
ভয়ংকর এই ফুটেজের ধরন অনেকটাই ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তৈরি করা ভিডিওগুলোর মতো।
ভিডিও ফুটেজটি নেওয়া হয়েছে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২১ অক্টোবর। যোদ্ধাদের পায়ের নিচে পড়ে থাকা আমারা সর্বনারী ইউনিটের সদস্য ছিলেন। সিরিয়ায় আইএসকে পরাজিত করতে ওয়াইপিজি মূল ভূমিকা পালন করেছিল। তারা ছিল মার্কিন বাহিনীর মূল শক্তি।
সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেওয়ার পরপরই গত ৯ অক্টোবর তুর্কি সেনাবাহিনী এবং তুরস্ক সমর্থিত সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) ওপর হামলা চালায়। এসডিএফ যোদ্ধারা অত্যন্ত দক্ষ এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর আস্থাভাজন ছিল। এসডিএফের দাবি, আইএস নেতা আবু বক্কর আল-বাগদাদিকে হত্যায় গোয়েন্দা তথ্য তারাই দিয়েছিল।






















