আন্তর্জাতিক ১৯ অক্টোবর, ২০১৯ ১০:২৩

নতুন ২১ টি পরমাণু প্রযুক্তি স্থাপনা নির্মাণের পথে ভারত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

সামনের ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন ২১টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দেশটির পরমাণু ও জ্বালানি বিষয়ক সচিব কেএন ভিয়াস বলেছেন, ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনপিসিআইএল) চুল্লিগুলো নির্মাণ করবে। যার মধ্যে আপাতত সাতটি চুল্লির নির্মাণ কাজ অব্যাহত আছে। তাছাড়া বাকি ১৪টির নির্মাণও প্রক্রিয়াধীন অবস্থাতে রয়েছে।’ 

এর আগে গত বছর সেই ২১টি পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করে ভারতীয় পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা। যেখানে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলে জানানো হয়। এবার যদিও চুল্লিগুলোর নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান পারমাণবিক জ্বালানি সচিব কেএন ভিয়াস। 

শুক্রবার ভারতের এনার্জি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে কেএন ভিয়াস বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করছি, যে কারণে এক দিকে যেমন নির্মাণ ব্যয় হ্রাস পেয়েছে ঠিক তেমনই কাজেও গতি এসেছে।’

এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতই প্রথম নিজেদের গবেষণা ক্ষেত্রে চুল্লি নির্মাণ করে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানি খাতে ভারত অঞ্চলটির সবচেয়ে পুরনো খেলোয়াড়। আমাদের শেখার পথ ছিল কষ্টসাধ্য; যদিও গত কয়েক দশকে আমরা পরিস্থিতির পরিবর্তন এনেছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা বর্তমানে পারমাণবিক চুল্লির সংখ্যা ২২টিতে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। যে কারণে এখন পারমাণবিক জ্বালানির চুল্লির দিক থেকে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ এই ভারত।’

দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ গ্রিডে পারমাণবিক বিদ্যুতের অবদান সীমিত উল্লেখ করে কেএন ভিয়াস বলেছিলেন, ‘কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়াই এই জটিল প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা অর্জন করা হয়। যে কারণে প্রাথমিকভাবে কিছু ছোট আকারের চুল্লি নির্মাণ করা হয়েছিল।’

এ দিকে এনার্জি ফোরামের আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছেন, ‘পারমাণবিক জ্বালানির ব্যবহার প্রসঙ্গে জনগণের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে। যা ভাঙতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।’