আমাদের কাগজ ডেস্কঃ করোনা মহামারীর পর তুরস্কে এটাই সবচেয়ে বড় বিপর্যয় । ভূমিকম্পের ২২ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ২২ ঘণ্টা পর ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আনাদোলু ও নিউইয়র্ক টাইমসের।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড বলেন, ভূমিকম্পের কারণে বহু মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে। তাদের থাকার কোন জায়গা নেই। তুষারপাতের কারণে তীব্র ঠান্ডায় তাদের জন্য বিপদ আরও বাড়বে। খবর এএফপির
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর। প্রায় সাড়ে হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে দুর্যোগ দেখা দিলে দুহাত বাড়িয়ে দেয় মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ও প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক। দীর্ঘ ৮৪ বছর পর দেশটি আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৬ হাজার মানুষ। এ নিয়ে সিরিয়া ও তুরস্কের মোট নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য,মিনিটে মিনিটে বাড়ছে মৃত্যু। উদ্ধার হচ্ছে মৃতদেহ। অনেক পরিবারে কেউ বেঁচে নেই। এমন মহাদুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার শক্তি পাক তুরস্ক।
আমাদের কাগজ/এমটি





















