আন্তর্জাতিক ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৪৯

সুদানে জাতিগত সংঘর্ষে ১৫০ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ব্লু নীল রাজ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষে ১৫০ জনের মতো নিহত হয়েছেন।সম্প্রতি সংঘর্ষ ও রক্তপাতের ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী দামাজিনের রাস্তায়  নেমেছে সর্বস্তরের মানুষ।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লু নীল রাজ্যে ডজনখানেক এমন ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে। প্রায়ই তাদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গা দেখা দেয়। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদানে সহিংসতা রক্তপাত সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে এবং এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ব্লু নাইল প্রদেশের রাজধানী দামাজিনের রাস্তায় নামেন বহু মানুষ। চলতি বছর সুদানে সংঘাতে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।

সুদানের ওয়াদ আল-মাহি হাসপাতালের প্রধান আব্বাস মুসা বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে গত বুধবার বৃহস্পতিবার নারী, শিশু বৃদ্ধসহ মোট ১৫০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই সহিংসতায় প্রায় ৮৬ জন আহত হয়েছেন।

আলজাজিরা বলছে, হাউসা সম্প্রদায়ের জনগণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে জমি নিয়ে বিতর্কের পর গত সপ্তাহে ব্লু নাইল প্রদেশে সংঘর্ষ শুরু হয়। তীব্র বন্দুকযুদ্ধে এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সংঘর্ষ জোরালো রূপ নিলে সেখানকার শত শত বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা জানায়।

সুদানের রাজধানী খার্তুমের ৩১০ মাইল দক্ষিণে রোজাইরেসের কাছে ওয়াদ আল-মাহি এলাকার চারপাশে এই সংঘর্ষ চলছে বলে জানায় আলজাজিরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার শত শত মানুষ প্রাদেশিক রাজধানী দামাজিনের রাস্তায় মিছিল করেছে। কেউ কেউ প্রদেশের গভর্নরকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছে। এসময় বিক্ষোভকারীরানা, সহিংসতা নয়,’ স্লোগান দেয়।

সুদানে জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান এডি রোই বলেছেন, ক্রমাগত এই সংঘর্ষের বিষয়ে তিনিগভীরভাবে উদ্বিগ্ন গত ১৩ অক্টোবর থেকে সর্বশেষ এই অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭০ জন নিহত এবং আরও ৩২৭ জন আহত হয়েছেন বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।

অবশ্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিয়মিতভাবেই জাতিগত সহিংসতায় কাঁপছে ব্লু নাইল প্রদেশ। গত জুলাই মাসে শুরু হওয়া উপজাতি সংঘর্ষে চলতি অক্টোবরের শুরু পর্যন্ত ১৪৯ জন নিহত হয়েছেন। ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ)-এর তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

নীল নদ অববাহিকা মূলত কয়েক ডজন বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর আবাসস্থল। ফলে তাদের মধ্যে ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং বর্ণবাদ কয়েক দশক ধরে প্রায়ই উপজাতীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করে আসছে।

আমাদের কাগজ/ ইদি