আন্তর্জাতিক ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৪:২৬

বিশ্বের কাছে নেতিবাচকভাবে মুসলমানদের প্রচার করছে মার্কিন গণমাধ্যম

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টের মিডলবুরি কলেজের মিডিয়া পোট্রেয়ালস অব মাইনোরিটিজ ল্যাবের অধীনে সম্পূর্ণ হওয়া এক  গবেষণায় উঠে এসেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে অন্যান্য সংখ্যালঘুর তুলনায় মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি নেতিবাচকভাবে প্রচার করে  আসছে। 

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান চারটি দৈনিক পত্রিকায় বিভিন্ন সংখ্যালঘুদের যেসব খবর প্রকাশিত হয় সেসব খবরের উপর ভিত্তি করে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।  গবেষকরা আফ্রিকান আমেরিকান, এশিয়ান আমেরিকান, লাতিন আমেরিকান, ইহুদী এবং মুসলমানদের নিয়ে করা খবরের উপর গুরুত্ব দেন।

নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ইউএসএ টুডেতে  সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা মোট ২৬ হাজার ৬২৬টি প্রতিবেদন এই গবেষণা কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

গবেষকরা এসব প্রতিবেদনকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক এই দুই গ্রুপে বিভক্ত করেন।  এতে দেখা গেছে লাতিন আমেরিকা কিংবা এশিয়ান আমেরিকানদের তুলনায় মুসলমানদের নিয়ে নেতিবাচক খবর সবচেয়ে বেশি প্রচারিত হয়েছে।

এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া গবেষক এরিক ব্লিচ জানান, অন্যান্য গ্রুপের তুলনায় মুসলমানদের নিয়ে করা খবরগুলো বেশি নেতিবাচক হয়ে থাকে।  অবশ্য বিগত পাঁচ বছরে মুসলমানদের নিয়ে করা খবরগুলো গড়ে কম নেতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি।  

এই নেতিবাচক খবরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে সিরিয়ার শরণার্থী সংকট এবং আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের নিয়ে করা প্রতিবেদন।   

অবশ্য মুসলমানদের সংস্কৃতি এবং শিক্ষা সম্পর্কিত খবরগুলো রাজনৈতিক খবরের তুলনায় ইতিবাচক ছিল।  ব্লিচ জানান, তবে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ইতিবাচক খবরের চেয়ে বরং রাজনীতি এবং অপরাধের নেতিবাচক খবরই বেশি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।

মুসলমানদের নিয়ে যেসব নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই বিদেশের মাটিতে সংঘর্ষের ঘটনা।  এদের শতকরা ৯২ ভাগ ঘটনাই যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ঘটেছে।

গবেষণায় বলা হয়, মুসলমানদের শিক্ষা,সংস্কৃতি, ঘরোয়া রাজনীতির খবরের প্রতি কম গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পত্রিকাগুলোর এধরনের কর্মকান্ডের কারণে মুসলমানরাও যে মূলধারার আমেরিকার সমাজের অংশ পাঠকদের জন্য তা অনুভব করা কঠিন হয়ে উঠে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ অথবা ইসলামভীতি নিয়ে পত্রিকাগুলো শতকরা ২ ভাগ খবর প্রকাশ করেছে। অথচ ইহুদীবাদবিরোধী অনুভূতি নিয়ে শতকরা ১৭ ভাগ খবর প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়।