ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট। এক সময়ের জমজমাট বার, রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। কেবল ভিড় রয়েছে হাসপাতালগুলোতে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উপচে পড়া করোনা রোগীর ভিড়।
কোথাও ১৬ জনের শয্যায় রাখা হয়েছে ৩০ জনকে। কোথাও আবার শয্যার অভাবে রোগী ফেরাতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আর রয়েছে মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিন গড়ে হাজার খানেক মানুষের নাম উঠছে মৃতের তালিকায়। কাজের চাপে ক্লান্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তবে এসব কিছুর জন্য বিশেষজ্ঞরা যাকে দায়ী করছেন, সেটি হল সদ্য-চিহ্নিত করোনার নতুন স্ট্রেন। যার বৈজ্ঞানিক নাম ভিওসি ২০২০১২/০১। ব্রিটেন স্ট্রেন বলেই লোকে যাকে বেশি চেনে। মাসখানেক আগে ব্রিটেনে প্রথম চিহ্নিত হয়েছিল করোনাভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেনটি। অল্প সময়ের মধ্যেই তা বিশ্বের ৭০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত এক সপ্তাহে আরও দশটি দেশে তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে তারা। ভয়ের বিষয় একটাই, উহানে চিহ্নিত হওয়া পুরনো করোনা স্ট্রেনটির থেকে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। বহু ক্ষেত্রে তা দ্বিতীয় সংক্রমণের কারণ হিসেবেও ধরা পড়েছে। পাশাপাশি, দক্ষিণ আফ্রিকায় চিহ্নিত করোনার নয়া স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে অন্তত ৩১টি দেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটিও কম সংক্রামক নয়।
গত বছর এই সময়ে ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউ ছড়িয়েছিল। তবে গত বছর আর এই বছরের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। লন্ডনের এক হাসপাতালের চিকিৎসক জেনি টাউনসেন্ড বলেছেন, গত বছর রোগটা নতুন ছিল। কিন্তু চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবলও ছিল তুঙ্গে। এবারে আমরা ক্লান্ত। জানি না কবে পরিস্থিতি আবার ঠিক হবে।





















