নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে অক্টোবর মাসে মোবাইল প্রেমের সূত্র ধরে উধাও হয়েছে ২৩ জন মেয়ে। এর মধ্যে একজন দুই সন্তানের জননী। আর বাকীরা অষ্টম শ্রেণী থেকে ডিগ্রীর ছাত্রী। এসব ঘটনায় একজনের অভিভাবক থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। বাকীদের অভিভাবক থানায় সাধারণ ডায়েরি অথবা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এর কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন।
আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় এসব তুলে ধরেন সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা। তিনি বলেন, করোনাকালে এসব প্রেমঘটিত কারণে এই উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখন বাড়তি চিন্তা করতে হচ্ছে।
সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা সভায় বলেন, এই মূহুর্তে এখানকান বড় আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে মোবাইল প্রেম। অবুঝ শিশুরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ফেসবুকে অথবা মোবাইল প্রেমে জড়িয়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। তারা বাবা-মাসহ বাড়ির অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেনা। এই শিশুদের অনেকের পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে পর্যন্ত জানাতে চাননা। আবার কোনো অভিভাবক থানায় আসলেও সাধারণ ডায়েরি করেই চুপ থাকতে চান। এভাবে সেপ্টেম্বর মাসে এই উপজেলার ২৩ জন মেয়ে প্রেমঘটিত কারণে বাড়ি ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একজনের অভিভাবক অপহরণ মামলা করেছেন। অন্যান্য অভিভাবক সাধারণ ডায়েরি অথবা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনকের সভাপতিত্বে এই মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভা শুরু হয়। এতে আলোচনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ রানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বসুনিয়া, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিস শাফি, সমাজ সেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায়, খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোফ্ফাখারুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহানাজ আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল সরকার, জাতীয়পাটির সভাপতি আজিজুল ইসলাম, জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ আজমী, প্রেসক্লাব সভাপতি শাহজাহান সোহেল, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের রনজিত কুমার অধিকারী, নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল বাশার মো. আব্দুল হান্নান পিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন সরকার, সামছুল আলম মাষ্টার, রফিকুল ইসলাম মন্ডল নওশা ও রবিউল করিম দুলা।


















