সারাদেশ ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:২৭

চাঁদার জন্য নারীকে প্রকাশ্যে পিটিয়েও ক্ষান্ত নন তিনি

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় মরিয়ম আক্তার তাপসী নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম খান মন্টুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর পল্লবী থানায় মামলা করেছেন তাপসীর ছোট বোন ফারদিনা হক রিনি। তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে (এমআইএসটি) প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। আহত তাপসী এখন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রিনি জানান, পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনে স্বামী ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন তার বোন মরিয়ম তাপসী। তিনি বিইউপিতে প্রোগাম সহকারী হিসেবে কর্মরত। প্রায় এক মাস আগে তাপসীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরুল। চাঁদা না দিলে তাপসীর স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে অপহরণেরও হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু তবু তাপসী চাঁদা দেননি।

এর জেরে গত ১৩ নভেম্বর সকালে অফিসে যাওয়ার পথে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের রাস্তায় তাপসীর পথরোধ করেন জহিরুল ও তার সহযোগী তারেক, রাজা, বিহারি জাহাঙ্গীরসহ সাত থেকে আটজন। তারা রাস্তার মধ্যেই তাপসীর শ্লীলতাহানি করে। বাধা দিলে রাস্তায় ফেলে ক্রিকেট ব্যাট, স্টাম্প, হকিস্টিক, রড দিয়ে পিটিয়ে তারা তাপসীকে আহত করে। ছিনিয়ে নেয়া হয় তার মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কারসহ ব্যাগ। একপর্যায়ে তাপসীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাপসীকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত তাকে হুমকি দিচ্ছে জহিরুল। এ বিষয়ে গত রবিবার রিনি রাজধানীর রূপনগর থানায় একটি জিডি করেছেন।

রিনি অভিযোগ করেন, প্রকাশ্যে একজন নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধর করা হলেও এখনো পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অথচ তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে। পিটিয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি, মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে হামলাকারীরা। মন্টু আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, তার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা রয়েছে; কিচ্ছু হয়নি। এসব মামলা সে ভয় পায় না। তাদের লাগাতার হুমকি-ধমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা।

তবে রিনির সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট দাবি করে জহিরুল ইসলাম খান মন্টু বলেন, ১৩ নভেম্বর আমি এলাকাতেই ছিলাম না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে বিইউপির ওই নারী কর্মকর্তাকে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে কারা, কী উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, পূর্ণ তদন্তের পর তা বলা যাবে।