সারাদেশ ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ ০৮:২৫

বিদ্যালয়কে ব্যঙ্গ করে সভাপতির স্ট্যাটাস, এলাকায় উত্তেজনা

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দেবিদ্বারের মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম বিকৃত করে ফেসবুকে এডহক কমিটির সভাপতির ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সভাপতি দ্রুত তাঁর স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন।

জানা গেছে, বুধবার সকালে মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলমের ফেসবুক আইডিতে বিদ্যালয়কে ব্যঙ্গ করে একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সভাপতি তাঁর স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘বাটপারপুর হাই স্কুলে জ্ঞান নয়, এখন চলে চুলকানি সেশন। এক সময় যেখানে বইয়ের গন্ধে ক্লাসরুম ভরে থাকত, সেখানে এখন বাতাসে ভেসে বেড়ায় ‘চক্রান্তের সুবাস’। এই স্কুলের তিন তারকা মি. পণির বিখাউজ, মি. চুলকানি একজিমা, আর মি. প্যারালাইসিস গলা ভাঙা চ্যাগান আলী– তিনজনই যেন নাটকের প্রধান চরিত্র।’

সভাপতির এই স্ট্যাটাস নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। আল আমিন নামে সাবেক এক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘আমার প্রিয় গ্রাম ও প্রাণের বিদ্যাপীঠ মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে যেভাবে ব্যঙ্গ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম, তা আমাদের ব্যথিত করেছে। আমি গ্রামের সন্তান হিসেবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে তাঁকে গ্রামবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।’


সাবেক শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম কমেন্টে লিখেন, ‘এই স্কুলের সভাপতি হয়ে মনের স্বাদ মিটায়, আবার এই স্কুল ও গ্রামকে ব্যঙ্গ করে। তাঁকে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত স্কুলে ঢুকতে দেওয়া উচিত না।’

বিদ্যালয়কে ব্যঙ্গ করে স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম। সভাপতির গ্রাম তালতলার কিছু মুরব্বির কাছে বিচার চাওয়া হয়েছে। তাদের জানিয়েছেন, এ ঘটনার বিচার না হলে যে কোনো মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, ‘এটি একটি গল্প মাত্র, গল্পকে কেন্দ্র করে রাগ হওয়া যাবে না। আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গল্প লিখি।’
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলামের ভাষ্য, বিদ্যালয়ের সভাপতির সঙ্গে ফেসবুকে তিনি যুক্ত নেই। তবে একজন তাঁকে একটি 
স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট পাঠিয়েছেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি।