সারাদেশ ২১ অক্টোবর, ২০২৫ ০৭:৩৬

এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জেলা যুবদল সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ

জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মিজানুর ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই দুই নেতাকে শোকজ করা হয়।

শোকজের ওই চিঠিতে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সম্পাদককে বলা হয়, ‘আপনারা, যথাক্রমে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেও জেলা যুবদলের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় শৈথিল্য প্রদর্শন করায় সংগঠনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে মর্মে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এমতাবস্থায়, সংগঠনের শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

চিঠিটি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে প্রেরিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ কে আজাদ ফরিদপুর সদরের পরমান্দপুর বাজারে গণসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নান্নু মোল্লার নেতৃত্বে একটি মিছিল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। মিছিলকারীরা একে আজাদকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ‘অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজনের কাছে কেন্দ্রীয় মহিলাদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নায়াব ইউসুফের পোস্টারও দেখা যায়। একপর্যায়ে যুবদলের ওই নেতারা বহরের শেষের দুটি গাড়িতে আখ ছুড়ে মারে ও কাচ ভাঙচুর করে।

এ ঘটনার পর ফরিদপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পরমানন্দপুরে আমাদের কোনো ইউনিট নেই। যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন, তারা যুবদলের সংগঠিত কমিটির কেউ নন।

ঘটনার পরদিন সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীস্থ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কে আজাদ বলেন, তারা (যুবদল) টার্গেট করেছে আমাকে, কারণ আমি সমাজসেবামূলক কাজ করি। আমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, আর এই জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তারা হামলা করেছে।

অন্যদিকে সোমবার দুপুরে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ভিডিও বার্তায় বলেন, এ কে আজাদ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঘোরেন। আমাদের শান্তিপ্রিয় নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত ছিলেন। তার বহরে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসীর উপস্থিতি দেখে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।