সারাদেশ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:১৪

সরকারি জমি মাপজোখে বাধা ও মারধর, যুবদল নেতার কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে সরকারি জমি মাপজোখে বাধা ও সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে যুবদলের এক নেতাকে এক দিনের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ইউএনও সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত যুবদল নেতা সোহেল জাহান (৩৫) জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে পরিবার নিয়ে কাজীপাড়ায় বসবাস করছেন।

সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শহরের কাজী মাহমুদ শাহ সড়কসংলগ্ন কাজীপাড়ার উত্তর দিকে ১নং খতিয়ানের আওতাভুক্ত ১৫ শতাংশ সরকারি জায়গায় ব্যানবেইসের (বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো) একটি প্রকল্পের ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। সোমবার দুপুরে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার রফিকুল ইসলাম, জারিকারক বোরহান উদ্দিন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জায়গাটি মাপজোখ করতে গেলে বাধা দেন সোহেল জাহান।

তিনি দাবি করেন, জায়গাটির একটি অংশ তার মালিকানাধীন। কর্মকর্তারা সরকারি কাজ চালিয়ে যেতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে সার্ভেয়ারদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে জারিকারক বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এতে বোরহান আহত হন।

ঘটনা জানাজানি হলে ইউএনও সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। পরে কাজীপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে সোহেল জাহানকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি কর্মকর্তাকে আঘাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৮৬ ধারায় তাকে এক দিনের কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ইউএনও সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেন, “সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়া ও শারীরিকভাবে আঘাত করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্তকে আইনের আওতায় এনে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, সরকারি জায়গা মাপজোখে বাধা ও সরকারি কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ড দেন।