ডেস্ক রিপোর্ট।।
ভোলায় বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তি করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়। তিনি এমন ঘটনায় জড়িত নন বলে ধারণা পুলিশের। হিন্দু ধর্মাবলম্বী এই যুবকের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে তাকে ফাঁসাতেই দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায় বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক হ্যাকারকে আটকও করেছে পুলিশ। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে বিপ্লব চন্দ্র শুভকেও পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোলার সদর থানা সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে তার ফেসবুক আইডি থেকে ফ্রেন্ডলিস্টের বেশ কয়েকজনের কাছে এ সংক্রান্ত আপত্তিকর মেসেজ আসে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন সন্ধ্যার পর বিপ্লব চন্দ্র বোরহানউদ্দিন থানায় আইডি হ্যাক হয়েছে মর্মে জিডি করতে আসেন। এরপর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিপ্লবকে তাদের হেফাজতে রাখেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ আরেক ব্যক্তিকে হ্যাকার সন্দেহে আটক করে। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয়, বিপ্লবকে ফাঁসাতে হ্যাকাররা ইচ্ছাকৃত এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করা হলে পরে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হয়। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রামবাসী। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে ৪ জন নিহত ও ১০ পুলিশসহ দেড়শতাধিক আহত হন। আহতদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




















