ডেস্ক রিপোর্ট।।
চাপাতি দিয়ে কোপানোর পর হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে ‘ছাত্রদল-শিবির’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটকের পর জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, ফেসবুকে মেসেঞ্জারে মেসেজের জের ধরে বুধবার দুপুর ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাহাউদ্দিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি ও লাঞ্ছিত করে ফিন্যান্স বিভাগ ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদ ইবনে সাদাফ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী সানবীর মাহমুদ ফয়সাল।
এরপর বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চা খেতে গেলে রিয়াদ ইবনে সাদাফ ১৫-২০ জন নিয়ে আতিকুল, জাহাঙ্গীর ও বাহারের ওপর আবার হামলা করে।
এসময় ‘ছাত্রদল ও শিবির’ বলে চাপাতি দিয়ে আতিক ও জাহাঙ্গীরকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আতিক ও জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে পালাতে চাইলে সাদাফের নেতৃত্বে ১৫-২০ তাদের কোপাতে কোপাতে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়।
একপর্যায়ে তাদের হাতে চাপাতি ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা কামাল পুলিশের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনায় আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার রাতে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এতে ফিন্যান্স বিভাগ ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদ ইবনে সাদাফ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী সানবীর মাহমুদ ফয়সাল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান ১১তম ব্যাচের আল সাদিক হৃদয়, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ১১তম ব্যাচের আল সাদিত জিয়ন, মার্কেটিং বিভাগ ১১তম ব্যাচের ফয়সাল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ১০তম ব্যাচের আরাফাত ইসলাম, প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ১০ ব্যাচের আবু মুসা রিফাতের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরপর বুধবার রাতে পুলিশ রিয়াদ ইবনে সাদাফ ও সানবীর মাহমুদ ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার কোর্টে তুললে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জজ আদালত।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ঘটনার পর দুই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি টিএসসিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় ব্যবহৃত চাপতি উদ্ধার করেছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে।’
সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘এই ঘটনায় একটি মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার কোর্টে পাঠানো হয়। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।’





















