সারাদেশ ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৭:০৮

রেলে কোনোভাবেই দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না : রেলমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রেলকে দুর্নীতিমুক্ত ও লাভজনক করা হবে। রেলে অনেক দুর্নীতি রয়েছে। অনেক জমি বেদখল হয়ে আছে। এক জমি দুই-তিনবার করে লিজ দেওয়া হচ্ছে। আমরা রেলের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করব। রেলে কোনোভাবেই দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন সেই মন্ত্রণালয়ের সাথে রাজবাড়ী জেলা ও জেলাবাসী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ রাজবাড়ী হচ্ছে রেলের শহর। আজকে রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের জন্যে রেলপথকে একটা লাভজনক মন্ত্রণালয়ে পরিণত করার জন্য আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। রাজবাড়ীর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিএনপির আমলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার মধ্যে লোকোশেড একটা। এই লোকোশেড আবার চালু হবে। লোকোশেড চালুর মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা আবার পুনর্জীবিত হবে। এই লোকোশেড আরও বড় করে রেলের বগি সংযোজন ও মেরামত কারখানা তৈরি করা হবে।

তিনি বলেন, রেলের ডিভিশন অফিস নিয়ে একটি বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন জেলা দাবি করছে তাদের ডিভিশন অফিস করার জন্য। যেহেতু রাজবাড়ীতে রেলের ঐতিহ্য রয়েছে। রাজবাড়ী যেহেতু রেলের শহর নামে পরিচিত, সেহেতু আমি চেষ্টা করবো রাজবাড়ীতে রেলের ডিভিশন অফিস করার জন্য। আমি সকলকে সাথে নিয়ে রেলের শহর রাজবাড়ীকে ঢেলে সাজাবো। আমাদের এই রেলপথকে আরও সম্প্রসারিত করা হবে। পুরো বাংলাদেশ একটি রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হবে। পাশাপাশি রেলমন্ত্রণালয়কে সুসংগঠিত করা হবে।

রেলমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি। আপনারা রাজবাড়ীতেই দেখেছেন কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল রেলপথ পুনরায় চালু করেছেন। রেলপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশাল পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের প্রতিটি জেলায় রেলপথ চালু করা হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জিল্লুল হাকিম বলেন, ঐতিহ্যগতভাবেই রাজবাড়ী জেলাকে রেলের শহর বলা হয়। রেলের শহরের মানুষকে রেলমন্ত্রী বানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাকে যেমন সম্মানিত করেছেন ঠিক তেমনি রাজবাড়ীবাসীকেও সম্মানিত করেছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার, মুহম্মদ আলী চৌধুরী, হেদায়েত আলী সোহরাব, রেজাউল হক রেজা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, পাঁচ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আমাদেরকাগজ /  এইচকে