নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের শেখ বাদশা (১৬) নামে এক কিশোরকে গলা কেটে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামির মধ্যে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের রাসেল মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
পলাতক দুই আসামি হলেন- একই উপজেলার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের শেখ রাসেল ও চরঅমরপুর গ্রামের ফকু খালাসী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শেখ বাদশা ছোটবেলা থেকে ঢাকায় একটি ভাঙাড়ির কারখানায় চাকরি করত। ২০১২ সালের ৬ জুন চরভদ্রাসনের নিজের বাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর থেকে সে কয়েকদিন নিখোঁজ ছিল। এর কিছুদিন পর ৬ জুলাই চরভদ্রাসনের গাজীরটেক ইউনিয়নের ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের একটি ধানখেতে গলা ও পা কাটা একটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই মরদেহটির পরনে থাকা লুঙ্গির সূত্র ধরে জানা যায় মরদেহটি বাদশার।
এ ঘটনায় ওই দিনই (৬ জুলাই) বাদশার বড় ভাই আবদুল হাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে চরভদ্রাসন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরভদ্রাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুন আল রশিদ ২০১২ সালের ৬ আগস্ট এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়ার আলী মৃধা জানান, এ মামলার আসামি রাসেল শেখ ও ফকু খালাসি পলাতক থাকায় তাদের নামে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। পাশাপাশি আগে থেকে গ্রেপ্তার রাসেল মৃধাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালত এ হত্যা মামলার ন্যায়বিচার করেছেন। এ রায়ের ফলে সমাজে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
আমাদেরকাগজ / এইচকে





















