ডেস্ক রিপোর্ট ।।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমানকে আটক করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে তাদেরকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনাও শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু সম্রাট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য দিলেন আটককৃত সম্রাটের বোন।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের এক শিবির নেতার বাড়িতে র্যাব-১ এর একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
এরপর সম্রাটকে সাথে নিয়েই তার কাকরাইল অফিসে অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। একই সময়ে মহাখালীতে সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসভবন, সম্রাটের শান্তিনিকেতনের বাসা ও সম্রাটের সহযোগী আরমানের বাড়িতেও অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা।
এ সময় অভিযানে সম্রাটের নিজ কার্যালয় থেকে ১৯ বোতল বিদেশী মদ, ১১৬০ পিস ইয়াবা, দু'টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া ও টর্চার সেলে নির্যাতন চালানোর উপকরনসহ ইলেকট্রিক শক দেওয়ার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়। ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত সম্রাটের ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সম্রাটকে এ বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। তবে অপর দু'টি স্থান থেকে কি কি পাওয়া গেছে তা জানায়নি র্যাব সদস্যরা।
অপরদিকে, সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরমানকেও মাদক মামলায় ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মূলত ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্রাট গুরু হিসেবে মানতো এই আরমানকে। আরমানের হাত ধরেই ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়ায় সম্রাট।
এদিকে সম্রাটকে নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন তার বোন ফারহানা চৌধুরী। রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার পূর্বসাহেব নগরের বাড়িতে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘আমার ভাই নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সে অসুস্থ ও হার্টের রোগী। তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। আমার ভাইয়ের মুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।
‘জুয়া খেলা সম্রাটের নেশা’ দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর এমন বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলেও দাবি করেন ফারহানা।
তিনি আরো বলেন, ‘শারমিন চৌধুরী একজন লোভী নারী। সে সব সময় টাকার জন্য আমার ভাইকে যন্ত্রণা দিত। এ জন্য সম্রাট তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন।’
অন্যদিকে সম্রাটের সহযোগী ও ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিস্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে হেলিকপ্টার যোগে ফেনী নিয়ে আসে র্যাব। তাকে নিয়ে রাতে বিশেষ অভিযানের কথা শোনা গেলেও র্যাবের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট করে কোন তথ্য জানানো হয়নি।
ফেনী র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েদ জাহেদী জানান, পুরো বিষয়টি ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। তাই আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।





















