ডেস্ক রিপোর্ট ।।
পল্লবীতে যুবলীগ মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পির নেতৃত্বে অবৈধ অটো রিকসা বন্ধে সচেতনতা মূলক পথসভা ও অবৈধ অটো রিকসা আটকে পুলিশে খবর দেওয়া হলেও পুলিশ দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে। অবৈধ অটো রিকসা আটকে প্রথমে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামকে ফোন করে তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি। ওসি তাকে জানায় এটি ট্রাফিকের দায়িত্ব। এই সময় সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে ওসি'র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি ট্রাফিকের দায়িত্ব।

পরবর্তীতে ট্রাফিক (পশ্চিম) বিভাগের ডিসিকে তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি ফোন করলে তিনি ওসি পল্লবীকে জানাতে বলে। এই সময় ডিসি জানায়, ভিতরের রোডে যে অবৈধ অটো রিকসা চলে তার দায়িত্ব ক্রাইম বিভাগের (থানা পুলিশের)। তখন তাকে জানান হয়, ভিতরের রোডের পাশাপাশি মেইন রোডেও অটো রিকসা আটকানো হয়েছে। তখন ডিসি অন্য একটি নাম্বার দেয়। সেই নাম্বারে ফোন করার পর একজন সার্জেন্ট আসে। একই সময় পল্লবী থানা থেকে পরিদর্শক (অপারেশান) এমরানুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর পাঁচটি অটো রিকসাকে ড্রাম্পিংয়ে পাঠানোর কথা বলা হয়।

রাজধানীর মিরপুরে দীর্ঘদিন থেকেই চলছে অবৈধ অটো রিকসা। এই অটো রিকসা কে নিয়ন্ত্রণ করে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে পুলিশের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে শুধু পুলিশের মিরপুর বিভাগের এই অটো রিকসা থেকে আয় মাসে দুই কোটি টাকা। এই টাকার ভাগ যায় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। তাই এই অটো রিকসা বন্ধ করা কার পক্ষে সম্ভব হয় না। মাসে প্রতি অটো রিকসাকে রাস্তায় চলতে দিতে হয় ১৫০০ টাকা করে। রাজধানীর মিরপুর জুড়ে রয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার অটো রিকসা। ১০ হাজার অটো রিকসা থেকে উঠে দেড় কোটি টাকা। এছাড়া্ও অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে দেওয়া চার্জের কারণে মাসে দিতে হয় ৫০০ টাকা করে। এর থেকে আয় আরো ৫০ লাখ টাকা।
আটো রিকসা চালকরা মাসে ১৫০০ টাকা করে দেওয়ার কারণে নিজেদের রাস্তার রাজা ভাবে। তারা জানে তাদের কিছু করার ক্ষমতা কার নেই। ফলে তারা বেপরোয়া গতিতে রিকসা চালায়। যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এমন কি পথচারীদের সাথে নিয়মিত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ পক্ষে থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না বলে তারা মনে করে।
এই বিষয়ে পুলিশ মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে কিছু অটো রিকসা আটক করলেও পরের দিনই সেই অটো রিকসা গুলো কিছু টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, থানা পুলিশ মাসিক টাকার বিনিময়ে অটো রিকসা চালানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমদের অটো রিকসা ধরার পর রাখার জায়গা নেই। ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ আটো রিকসাগুলোর দায়িত্ব নেয় না। তাই আমাদের কিছু করার নেই।
এই বিষয়ে পল্লবী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম শামিম বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করি।
আজকের বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লবী থানা যুবলীগের সভাপতি ও মহানগর (উত্তর) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি বলেন, অবৈধ অটো রিকসার বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রতিদিনই সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছে। গতকাল দুয়ারীপাড়াতে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও আটো রিকসা চালকরা পথচারী ও যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল রাতে এক সাইকেল আরোহীকে পূরবী ষ্ট্যান্ডে এক আটো রিকসা চালক মেরে গুরুতর আহত করেছে। এমন প্রেক্ষিতে পূরবী কালসী ষ্ট্যান্ড থেকে আটো রিকসার বিরুদ্ধে এই জন সচেতনামূলক কর্মসূচী শুরু করেছি। প্রশাসন সাহায্য করলে এই অভিযান নিয়োমিত করব।
এই সময় তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পি বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আমি এই আটো রিকসার বিরুদ্ধে পল্লবী ও রূপনগর থানায় ইতিপূর্বে জিডি করেছি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, এটি মূলত, পুলিশের কাজ। আমরা শুধুমাত্র পুলিশকে সহযোগীতা করতে পারি এর বেশী কিছু নয়। গতকালই আমি এই কর্মসূচীর কথা পল্লবী থানার ওসি এবং অপারেশানকে অবহিত করেছিলাম। আশা করব পুলিশ এই বিষয়ে কার্য্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।




















