আমাদের কাগজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের শৈলকূপায় রাতের আঁধারে লুকিয়ে ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ভিডিও ধারণের সময় মোবাইলের ফ্লাশ লাইটের আলো জ্বলে উঠলে টেরপায় পায় শৈলকূপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে মামুন ফেরদৌস। অতঃপর ঘরের ভেতর থেকে হাত চেপে ধরলে মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
এরপর বৃহস্পতিবার (৪ মে) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সাহায্য গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাপখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে জুলকার খাঁ (৩২) ও তার প্রেমিকা শামছুল বিশ্বাসের মেয়ে জান্নাতি খাতুন (২০)।
শুক্রবার (৫ মে) সকালে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শৈলকূপা উপজেলার সাপখোলা গ্রামে মামুন ফেরদৌসের বাড়ির জানালা দিয়ে কে বা কারা তার ঘুমন্ত স্ত্রী ও মেয়ের ভিডিও করছিল। এ সময় মোবাইলের ফ্লাশ লাইটের আলো জ্বলে উঠলে ফেরদৌস ঘরের ভেতর থেকে হাত চেপে ধরলে মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যায়।
ফেলে যাওয়া মোবাইলের মধ্যে সাপখোলা গ্রামের প্রায় অর্ধশত নারীর নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ভিডিও ও ছবি দেখতে পায়। এরপর গত ৪ মে ফেরদৌস বাদী হয়ে শৈলকূপা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করে। গতরাতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গত ৩ থেকে ৪ মাস ধরে আসামি জুলকার খাঁ প্রেমিকা জান্নাতি খাতুনের মোবাইল দিয়ে পরিকল্পনা করে রাতের আঁধারে গোপনে ওই গ্রামের বিভিন্ন মেয়েদের ঘুমন্ত নগ্ন ও অর্ধনগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ধারণকৃত ভিডিও দিয়ে তারা টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে এটিই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।
আমাদের কাগজ/এমটি





















