সারাদেশ ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৩:৫৬

যুবলীগ নেতা খালেদ টর্চার সেলের মাধ্যমেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

টর্চার সেলে রাখা হতো নির্যাতনের অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।

র‌্যাব এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার টর্চার সেলের খোঁজ মেলে রাজধানীর কমলাপুরে। দলে না ভিড়লে, চাঁদা না দিলে কিংবা জমি বা ফ্লাট নিয়ে দ্বন্দ্বের সমাধান না হলেই ডাকা হতো টর্চার সেলে। কথাবার্তায় সমাধান না হলে, ভাগ্যে জুটত ইলেকট্রিক শক।

এভাবেই ত্রাসের রাজত্ব ধরে রাখার অভিযোগ রয়েছে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, খালেদের কথামতো না চলায় ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কমলাপুর ছাড়াও মতিঝিল, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, রামপুরা ও শান্তিনগরে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় খালেদ গড়ে তুলেছিলেন বেশ কয়েকটি টর্চার সেল। 

এর মধ্যে শান্তিনগরে হাবিবুল্লাহবাহার কলেজ ক্যাম্পাসের টর্চার সেলটি অন্যতম। কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা জানান, প্রায়ই কলেজে অস্ত্রসহ শোডাউন করতেন খালেদ।

দলে না ভেড়ায় টর্চার সেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এই কলেজের অসংখ্য ছাত্রনেতার। তার বিপক্ষে যাওয়ার মাশুল হিসেবে রাজনীতি আর পড়াশোনা তো বটেই, দেশ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন অনেকে। তার কথামত না চলায় ছাত্রলীগের বহু কর্মীও বয়ে বেড়াচ্ছেন নির্মম নির্যাতনের ক্ষত। নির্মম নির্যাতনে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আছে। 

কলেজ ক্যাম্পাসে টর্চার সেল থাকার বিষয়টি স্বীকার না করলেও অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার মিয়া বলছেন, কলেজে খালেদের আধিপত্য ছিলো। প্রায়ই কলেজে আসতো সে।
 

খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া দ্বিতীয় দফায় আরো ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।