আমাদের কাগজ ডেস্কঃ ইফতারিতে তেল খাবে না বাঙালি তা আবার হয় নাকি! অভিজাত এলাকার ইফতারির পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার দোকানের ইফতারও এখন জমজমাট। আজ (৩০ মার্চ) রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুর, মুগদা, বাসাবো, শাহজাহানপুর, শান্তিবাগ ও গুলবাগ এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
তবে প্রতিবারের মত এবারও মহল্লায় ইফতারে নেই ভিন্নতা। প্রতি পিস পাকোড়া ১০ টাকা, সমুচা-সিঙাড়া বিক্রি ১০ টাকা, চিকেন সমুচা ১৫ থেকে ২০ টাকা, রোল ২০ থেকে ৩০ টাকা, রুমালি পরোটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিকেন ছাবলি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, জালি কাবাব ২০ টাকা, সাসলিক কাবাব ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া ১০০ গ্রাম ছোলা (বুট) বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, বেগুনি ৫ থেকে ১০ টাকা, পেঁয়াজু ৫ থেকে ১০ টাকা, প্রতি পিস জিলাপি ১০ টাকা, প্রতি ১০০ গ্রাম জিলাপি ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গতানুগতিক সেই ভাজা-পোড়ায়ই ভরসা মহল্লাবাসীর। তবে ইফতারের মান নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ক্রেতারা বলছেন, আগের মতো প্রতিটি পণ্যের আকার থাকলেও দাম অনেকটা বেশি রাখছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইফতারি তৈরিতে গত বছরের তুলনায় খরচ বেশি পড়ছে।
হাবিব নামে একজন এসেছেন পরিবারের জন্য ইফতার কিনতে। তিনি বলেন, এ বছর পাড়া-মহল্লায় জিনিসের দামও বেড়ে গেছে। পেঁয়াজু-সমুচা-চপের দাম বেড়েছে। এগুলোর মূল উপকরণ আলু-পেঁয়াজের অভাব নেই বাজারে। পেঁয়াজের দাম গত বছরের চেয়ে কম কিন্তু পেঁয়াজুর দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, কোনো জিনিসের দাম বাড়লে তো পরিমাণও বাড়ে কিন্তু এখানে সেটা নেই। পরোটার দাম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান হওয়া দরকার।
ভাজা পোড়া বিক্রেতা ইসলাম জানান, আগে ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকত। এখন জিনিস পত্রের দাম বাড়ার কারণে বাড়িতে ভাজা- পোড়া নিজেরাই বানাচ্ছেন অনেকে। শুধু মিষ্টির স্বাদ নিতে কেউ কেউ মহল্লার দোকান গুলোতে ছুটে আসে।
তবে ক্রেতাদের এসব অভিযোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন মুগদা এলাকার দোকানি শরিফ। তিনি বলেন আমারও সংসার আছে, দোকান খরচ আছে। তবে সবকিছুর দাম কমলে আমরাও দাম কময়ে দেবো।
আমাদের কাগজ/এমটি




















